শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১০

টেক জায়ান্টসদের ২০১১ এর নিউ ইয়ার রেজুলুশান

বছরের শুরুতেই সবাই নানান পরিকল্পনা নিয়ে মেতে ওঠেন। কি কি করতে হবে বা কি কি করা থেকে বিরত থাকতে হবে তা নিয়ে সবাই চিন্তিত হয়ে পড়েন। অনেকে মনে মনে ছক তৈরি করে নেন। আবার অনেকেই লিস্ট আকারে তৈরী করে নেন নিজের নিউ ইয়ার রেজুলুশান।

এইক্ষেত্রে Facebook, Twitter , Google এর মত র্বতমান বিশ্ব কাপাঁনো টেক জায়ান্টসরাই বিরত থাকবে কেন ? এইসব জায়ান্টসদের নতুন বছরের পরিকল্পনার কাল্পনিক তালিকা তৈরী করেছে প্রযুক্তি ও পপ কাচার বিষয়ক কমিক The Joy of Tech। সে তালিকাটিই তুলে ধরা হলো বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডট কম এর পাঠকদের জন্য।

সবাইকে নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা । আপনার বর্ষ পরিকল্পনা তৈরী করেছেনতো ?
»» read more

২০১০ সালে গুগলকে হারিয়ে দিল ফেইসবুক

ফেইসবুক যে দিনে দিনে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে তার আরেকটি প্রমান মিললো। ২০১০ সালে যুক্তরাস্ট্রে সবচেয়ে বেশি বার ভিজিট হওয়ার ওয়েব সাইট এখন ফেইসবুক। আগে এই স্থানটি ছিল গুগলের দখলে। ষাঁড়ের গতিতে এগিয়ে চলেছে ফেইসবুক পুরো বিশ্বজুড়ে। আর আগামী কয়েক বছর নাগাদ এর অবস্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা সহজেই অনুমেয়।



শুধুমাত্র ভিজিটের দিক দিয়ে নয়। সার্চ এর দিক দিয়েও সবচেয়ে জনপ্রিয় কি-ওয়ার্ড হচ্ছে ফেইসবুক। HitWise এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ফেইসবুক সংক্রান্ত সার্চ কোয়েরির সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২০৭% বেড়ে গেছে। ২০১০ এর জানুয়ারী থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ফেইসবুকে ভিজিট ছিলো ৮.৯৩% যেখানে গুগলের অবস্থান ৭.১৯%। সবচেয়ে বেশি সার্চ করা এবং সবচেয়ে বেশি ভিজিট করা ওয়েব সাইটের লিস্ট নিম্নরুপঃ






পৃথিবী জুড়ে রাজত্ব করে আসা গুগলকে সিংহাসন থেকে নামানো ফেইসবুকের জন্য শুধু সময়ের ব্যাপার। এখন অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছেন, যাদের একমাত্র গন্তব্য ফেইসবুক। তারা গুগলের নামও জানেন না। কি? বিশ্বাস হচ্ছে না আমার কথা? আপনার আত্বীয়-স্বজনদের মাঝেই খুঁজে দেখুন। দুই-এক জন পেয়ে যাবেন এরকম।
»» read more

মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১০

FarmVille কে পেছনে ফেলে শীর্ষ স্থানে CityVille

ফেইসবুকের সবচেয়ে জনপ্রিয় গেইমগুলোর তালিকায় বেশিরভাগই Zynga এর গেইম। এই গেইম ডেভেলপারের FarmVille গেইমটি ফেইসবুকের সবচেয়ে জনপ্রিয় এপ্লিকেশনের তালিকায় শীর্ষস্থানে অবস্থান করছিলো দীর্ঘ দিন ধরে। আমিও বেশ কিছু দিন এই গেইমটি খেলেছিলাম। এ ধরনের গেইমগুলো একবার খেলে মজা পেলে নেশা ধরে যায়। তবে Zynga এর নতুন গেইম CityVille আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে মাত্র ১ মাসেই শীর্ষ স্থান দখল করে নেয়।


AppData এর তথ্য অনুযায়ী CityVille এর দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৬.৮ মিলিয়ন যেখানে FarmVille এর রয়েছে ১৬.৪ মিলিয়ন। তবে মাত্র এক মাসে নতুন একটি এপ্লিকেশন শীর্ষে থাকা অন্য এপ্লিকেশনকে অতিক্রম করা সত্যি অবাক করার মত। মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারির পরিসংখ্যানেও সিটিভিল এগিয়ে রয়েছে ফার্মভিল থেকে। শীর্ষ ১০ এর তালিকায় Zynga এর আরও বেশ কিছু গেইম রয়েছে। AppData এর শীর্ষ এপ্লিকেশনের তালিকাটি দেখুনঃ


মাত্র কিছু দিনের মাথায় CityVille এর এই সফলতা Zynga এর দূরদর্শীতা এবং দক্ষতারই সাক্ষর। আর ভেনচার ক্যাপিটালে তাদের অগ্রগতি ভবিষ্যত ব্যবসায়িক সফলতারই ইঙ্গিত দেয়।
»» read more

আত্নজীবনী লিখে ১.৩ মিলিয়ন ডলার পেতে যাচ্ছেন জুলিয়ান এসাঞ্জ

জুলিয়ান এসাঞ্জ নামটি এখন প্রায় সবারই পরিচিত। আর কেন, তাও প্রায় আমরা সবাই জানি। উইকিলিকসকে কেন্দ্র করে গত কয়েক সপ্তাহে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা এসাঞ্জকে পরিচিত করে তুলেছে বিশ্বব্যাপী। আর সম্প্রতি তিনি তার আত্নজীবনী লিখতে সম্মত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের দুই পাবলিশারের সাথে। আর এর বিনিময়ে তিনি পেতে যাচ্ছেন ১.৩ মিলিয়ন ডলার।


সানডে টাইম এ দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসাঞ্জ জানান, এই বইটি যুক্তরাজ্যে এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হবে। এদের কাছ থেকে তিনি যথাক্রমে পাবেন $5,02,000 এবং $8,00,000 ডলার। যুক্তরাস্ট্রের পাবলিশার Random House এর এক মুখ্যপাত্র জানানঃ

“We are very excited to be publishing this book. The work that Assange has been doing at WikiLeaks has tremendous importance around the world”

কিন্তু জুলিয়ান কেন এই বইটি লিখতে যচ্ছেন? এর কারন খুবই সহজ। তার টাকার প্রয়োজন।আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতায় তার প্রায় $200,000 ডলার খরচ হয়েছে। এ সম্পর্কে সানডে টাইমসকে তিনি বলেনঃ

“I don’t want to write this book, but I have to. I have already spent £200,000 for legal costs and I need to defend myself and to keep WikiLeaks afloat”

মূলত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বেশ কিছু গোপন নথি প্রকাশ করার পর উইকিলিকস আলোচনায় আসে। এরপর উইকিলিকস এবং এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এসাঞ্জ বিভিন্ন ব্যয়বহুল সমস্যায় পড়ে। DDoS আক্রমনের শিকারও হয় উইকিলিকস। পেপাল এবং আমাজন সহ আরও অনেক কোম্পানি উইকিলিকসকে সার্ভিস প্রদান করা বন্ধ করে দেয়। এই বই লেখার মাধ্যমে এসাঞ্জ নিজেকে আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলা এবং উইকিলিকসের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবার ব্যপারে আশাবাদী।
»» read more

আইপডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আসছে স্যামসাং এর ‘গ্যালাক্সি প্লেয়ার’

স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট পিসির পর এবার মিউজিক প্লেয়ারের দিকে ঝুঁকেছে স্যামসাং। ‘গ্যালাক্সি প্লেয়ার’ নামক নতুন একটি পারসোনাল মিউজিক প্লেয়ার বাজারে আনতে যাচ্ছে তারা খুব শীঘ্রই। সামনের এবং পেছনের ক্যামেরার মত স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব এর অনেক সুবিধাই এই মিউজিক প্লেয়ারে বিদ্যমান থাকবে এবং এই দু’টি ডিভাইসই এন্ড্রয়েড 2.2 ভার্সন ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে।


স্যামসাং গ্যালাক্সি প্লেয়ার মূলত এর গ্যালাক্সি এস ফোনটির মতই, তবে শুধুমাত্র ফোন নেই এই মিউজিক প্লেয়ারে। চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক এর বৈশিষ্ট্য সমূহঃ

  • ৯.৯ মিলিমিটার পুরুত্ব
  • ১ গিগাহার্জ হামিংবার্ড প্রসেসর
  • ৪ ইঞ্চি WVGA এলসিডি ডিসপ্লে
  • ৮০০*৪০০ রেজুল্যুশন
  • ৩.২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা
  • ফ্রন্টফেসিং ভিজিএ ক্যামেরা
  • SoundAlive অডিও টেকনোলজী
  • হাই ডেফিনেশন ভিডিও প্লেব্যাক
  • মাইক্রো এসডি কার্ডস্লট
  • ওয়াইফাই, ব্লুটুথ এবং জিপিএস
  • এন্ড্রয়েড মার্কেট এক্সেস
আইপড টাচ এর সাথে প্রতিযোগীতায় নামার মত প্রায় সবকিছুই এই প্লেয়ারে রয়েছে। তবে আইপড এর ৯৬০*৬৪০ রেটিনা ডিসপ্লে নিঃসন্দেহে অসাধারন এবং এক্ষেত্রে আইপড এগিয়ে থাকবে। মিউজিক ডাউনলোডের জন্য আমাজন এমপিথ্রি সার্ভিস ব্যবহার করা হবে। বলাই বাহুল্য এটি আইটিউনসের মত সমৃদ্ধ এবং ব্যবহার বান্ধব নয়।

স্যামসাং ই একমাত্র কোম্পানী নয় যেটি মিউজিক প্লেয়ারের বাজার ধরার জন্য নেমেছে যেটি বর্তমানে এপলের দখলে রয়েছে। এর আগেও অনেক ছোট-বড় কোম্পানী পোর্টেবল মিউজিক প্লেয়ার বাজারে এনেছে, তবে এর কোনটিই বিশেষ কোন সাড়া ফেলতে পারেনি। ‘গ্যালাক্সি প্লেয়ার’ এর দাম কেমন হবে এ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
»» read more

দেখে নিন আপনার সাইট কেমন দেখাবে মোবাইলে বা আইপ্যাডে

ওয়েবমাস্টাররা আজকাল নানা প্লাগইন বা মডিউল ব্যবহার করে মোবাইল বা বিভিন্ন ট্যাবলেট ডিভাইসের জন্য কম্প্যাটিবল করে নিজেদের সাইটের আলাদা থিম তৈরি করেন। এই থিমগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে দেখা যায় না। কেবল নির্দিষ্ট স্মার্টফোন বা ডিভাইস দিয়ে ঐ সাইটে ঢুকলেই সেই থিমটি অ্যাক্টিভেট হয় এবং সাইটটি মোবাইলের উপযোগী হয়ে প্রদর্শিত হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনি চাইলে আপনার ফায়ারফক্স ব্রাউজারেই দেখে নিতে পারেন আপনার সাধের সাইটটি আইফোনে বা আইপ্যাডে কেমন দেখাবে?


এটি সম্ভব ব্রাউজারের ই্উজার এজেন্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে। ইউজার এজেন্ট মূলত আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে যাবতীয় ডাটা যা সার্ভারে পাঠানো হয় এবং সার্ভার ঠিক সেভাবেই আপনার সাইটের কন্টেন্টগুলো পাঠিয়ে থাকে। কিন্তু আপনার সাইটে যদি আইফোনের জন্য নির্দিষ্ট থিম বা ডিজাইন সেট করা থাকে, তাহলে সেই থিম বা ডিজাইনটি কেবল তখনই দেখা যাবে যখন ব্রাউজারের ইউজার এজেন্ট হবে আইফোন। আপনি চাইলেই ব্রাউজারের ইউজার এজেন্ট পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন। এতে করে প্রেরিত ইউজার এজেন্ট ডাটা অনুযায়ী সার্ভার কন্টেন্ট পাঠাবে। অতএব, বুঝতেই পারছেন, এই ফায়ারফক্সের ইউজার এজেন্ট পরিবর্তন করে ফেললেই আপনার ফায়ারফক্স ব্রাউজারকে বানিয়ে ফেলা সম্ভব আইফোন বা আইপ্যাড।

আগেই বলে নিয়েছি এই সুবিধাটি ফায়ারফক্সের জন্য। প্রথমেই আপনাকে ইউজার এজেন্ট সুইচার নামে একটি অ্যাড-অন ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে। অ্যাড-অনটি এখান থেকে ইন্সটল করুন। তারপর ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন।

এবার টুলস থেকে ডিফল্ট ইউজার এজেন্টে আইফোন ৩.০ সিলেক্ট করলেই আইফোনের ব্রাউজারে যেমন দেখা যাবে ঠিক তেমনি প্রদর্শিত হবে আপনার সাইট। এ জন্য আপনাকে পেজটি রিফ্রেশ করতে হবে।


আপনি যদি আইপ্যাড বা অ্যান্ড্রয়েডের জন্যও আলাদা থিম তৈরি করেন এবং তা দেখতে চান, তাহলে আপনাকে ম্যানুয়ালি ইউজার এজেন্ট ডাটা যোগ করতে হবে। এ জন্য টুলস থেমে ডিফল্ট ইউজার এজেন্ট-এ এডিট ইউজার এজেন্টস-এ ক্লিক করতে হবে। যেই উইন্ডোটি আসবে সেখান থেকে নিউ ইউজার এজেন্ট-এ ক্লিক করুন। এবার নিজের মতো উইন্ডো আসবে।



আইপ্যাডের জন্য প্রথম ঘরে লিখুন আইপ্যাড এবং দ্বিতীয় ঘরে লিখুনঃ Mozilla/5.0 (iPad; U; CPU OS 3_2 like Mac OS X; en-us) AppleWebKit/531.21.10 (KHTML, like Gecko) Version/4.0.4 Mobile/7B334b Safari/531.21.10)

অ্যান্ড্রয়েডের জন্য প্রথম ঘরে লিখুন অ্যান্ড্রয়েড এবং দ্বিতীয় ঘরে লিখুনঃ Mozilla/5.0 (Linux; U; Android 2.2; en-gb; Nexus One Build/FRF50)
AppleWebKit/533.1 (KHTML, like Gecko) Version/4.0 Mobile Safari/533.1

নিচের ঘরগুলো অপরিবর্তিত রেখে ওকে করুন। এবার একইভাবে আপনি মেনু থেকে ইউজার এজেন্ট এক ক্লিকে পরিবর্তন করতে পারবেন।

স্ক্রিন রেজুলেশন
আপনার মনিটরের রেজুলেশনের তুলনায় হ্যান্ডসেটের রেজুলেশন কম হতেই পারে। যে এজেন্ট সিলেক্ট করেছেন সেই এজেন্টের স্ক্রিন রেজুলেশনে দেখার জন্য ফায়ারসাইজার নামের এই অ্যাড-অনটি ইন্সটল করে নিন। এবার ব্রাউজারের নিচের ডান পাশ থেকে স্ক্রিন রেজুলেশন পরিবর্তন করতে পারবেন।



আপনাদের তথ্যের জন্য

  • আইফোন থ্রিজিএস এর স্ক্রিন রেজুলেশন ৩২০ বাই ৪৮০।
  • আইফোন ৪-এর স্ক্রিন রেজুলেশন ৬৪০ বাই ৯৬০।
  • নেক্সাস ওয়ান (অ্যান্ড্রয়েড) এর স্ক্রিন রেজুলেশন ৪৮০ বাই ৮০০।
  • আইপ্যাডের রেজুলেশন ১০২৪ বাই ৭৬৮।
উল্লেখ্য, যেহেতু নেক্সাস ওয়ান এখন বাজারে নেই এবং অ্যান্ড্রয়েড বিভিন্ন রেজুলেশনের হ্যান্ডসেটে পাওয়া যাচ্ছে, সেহেতু অ্যান্ড্রয়েডের জন্য স্ক্রিন রেজুলেশন পরিবর্তন করে দেখার কিছু নেই।

উপরের পদ্ধতি ছাড়াও ওয়েবে অনেক সাইট আছে যেগুলোয় আপনি যে কোনো সাইটের আইপ্যাড বা আইফোন রূপ দেখতে পারবেন। কিন্তু ঘন ঘন দেখতে হলে এই পদ্ধতিটা বেশ কাজের ও দ্রুতগতির বলেই আমি মনে করি।
»» read more

রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১০

ওয়েবপেজ অটো রিফ্রেশ বন্ধ করবেন যেভাবে

ওয়েবপেজ অটো রিফ্রেশ সাধারণত সংবাদ বিষয়ক সাইটে ও বিভিন্ন পাবলিক ব্লগে পাওয়া যায়। এটি চালু করা থাকে দু’টো কারণে। পাঠককে সর্বশেষ সংবাদটি বা পোস্টটি দেখানোর জন্য এবং সাইটে ব্যবহৃত বিজ্ঞাপনের ইমপ্রেশন বাড়ানো। কিন্তু আমার মতো অনেকেই হয়তো এই সুবিধাটি একেবারেই পছন্দ করেন না।অনেক সময় দেখা যায় পড়ার সময় হঠাৎই পেজ রিফ্রেশ হয়। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পেজ রিফ্রেশের প্রধান সমস্যা হলো ব্যান্ডউইথ খরচ। যেহেতু একটি পেজ রিফ্রেশ হচ্ছে, সেহেতু অন্য পেজগুলো লোড হওয়ার গতি কমে যায়। আর এ জন্যই ওয়েবপেজ অটো রিফ্রেশ বন্ধ রাখতে চান অনেকেই।


ওয়েবপেজ অটো রিফ্রেশ ব্যবহার করা হয় দুইভাবে। এইচটিএমএল মেটা ব্যবহার করে অথবা জাভাস্ক্রিপ্টের মাধ্যমে। জাভাস্ক্রিপ্টের মাধ্যমে যেসব সাইটে অটো-রিফ্রেশ যোগ করা হয়, সেগুলো বন্ধ করা যায় ব্রাউজারের জাভাস্ক্রিপ্ট সাপোর্ট বন্ধ করে দিলে অথবা ফায়ারফক্সের অ্যাড ব্লক প্লাস প্লাগইন থেকে নির্দিষ্ট করে ঐ সাইটের জাভাস্ক্রিপ্ট বন্ধ করে দিলে। অন্যদিকে এইচটিএমএল মেটা ট্যাগে ব্যবহার করলে তা বন্ধ করার জন্য নির্দিষ্ট ব্রাউজারের সেটিংস পরিবর্তন করে নিতে হয়। আসুন জেনে নিই কীভাবে সেটিংস পরিবর্তন করতে হবে।

ফায়ারফক্স
ফায়ারফক্সে এই সেটিংস পরিবর্তন করা সবচেয়ে সোজা। ফায়ারফক্সের টুল মেনু থেকে অপশনস (লিনাক্সে এডিট মেনু থেকে প্রেফারেন্স) এ ক্লিক করুন। এবার একেবারে ডান পাশের ট্যাব অ্যাডভান্সড-এ ক্লিক করুন। এখানে কতগুলো সাবট্যাব পাবেন। সেখান থেকে জেনারেল সিলেক্টেড না থাকলে জেনারেল সিলেক্ট করুন। এবার প্রথম থেকে তিন নম্বর চেকবক্স ‘ওয়ার্ন মি হোয়েন ওয়েব সাইটস ট্রাই টু রিডাইরেক্ট অর রিলোড দি পেজ’ -এ টিক চিহ্ন দিয়ে ওকে করে বের হয়ে আসুন।



এরপর থেকে অটো-রিফ্রেশ হওয়ার আগে আপনাকে একটি ডায়ালগ বক্সের মাধ্যমে আগে জিজ্ঞেস করা হবে অটো-রিফ্রেশ অ্যালাউ করবেন কি না।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার-এর ৭ বা ৮ এর ব্যবহারকারীরা টুলস মেনু থেকে ইন্টারনেট অপশন-এ গিয়ে সিকিউরিটি ট্যাব ওপেন করুন। সেখানে লক্ষ্য করুন কাস্টম লেভেল নামে একটি বাটন রয়েছে। এতে ক্লিক করুন।


স্ক্রল ডাউন করে ‘অ্যালাউ মেটা রিফ্রেশ’ নামের রেডিও বাটন খুঁজে বের করুন এবং ডিসঅ্যাবল করুন। ওকে ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।



অপেরা
অপেরার ক্ষেত্রে মেনু থেকে প্রিফারেন্স-এ ক্লিক করে অ্যাডভান্সড ট্যাব-এ ক্লিক করুন। বাম পাশ থেকে নেটওয়ার্ক-এ ক্লিক করুন। এবার ‘এনঅ্যাবল অটোমেটিক রিডাইরেকশন’ চেকবক্স থেকে টিকচিহ্ন উঠিয়ে দিন।



উল্লেখ্য, গুগল ক্রোম বা সাফারির জন্য অটো রিফ্রেশ বন্ধ করার কোনো উপায় আছে কি না তা এখনো জানা যায়নি।

অটো-রিফ্রেশ বিরক্তির কারণ হলেও কিছু কিছু সাইটের জন্য অটো-রিফ্রেশ আসলেই জরুরি। যেমন বাংলাদেশে সামহোয়্যার ইন ব্লগ, বিডিনিউজ২৪ ইত্যাদি সাইট প্রতিনিয়ত আপডেট হয় এবং আপনি এসব সাইট নিজে নিজে বারবার রিফ্রেশ করতে চান না। অন্যদিকে বিজ্ঞান প্রযুক্তি বারবার রিফ্রেশ হয় যদিও এতে প্রতিনিয়ত পোস্ট প্রকাশিত হচ্ছে না। তাই অটো-রিফ্রেশ বন্ধ করার সময় লক্ষ্য করুন আপনার আসলেই ফিচারটি বন্ধ করা প্রয়োজন কি না। অন্যথায় অটো-রিফ্রেশ চালু রাখতে পারেন।
»» read more

বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১০

যুক্তরাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস করলো উইকিলিকস

উইকিলিকসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি গোপন নথি প্রকাশের বিষয়টিকে অপরাধ হিসেবেই দেখছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন গোপন নথি প্রকাশের বিষয়টিকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এসব তথ্য ‘চুরির’ সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চীন উইকিলিকসের তথ্য ফাঁসের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতি যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ দিকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে কোনো শর্ত ছাড়াই আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। বিভিন্ন দেশের সরকারের বিব্রতকর তথ্য ফাঁসের জন্য আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকস গত রোববার আড়াই লাখেরও বেশি মার্কিন গোপন নথি প্রকাশ করে। গত মাসে ইরাক যুদ্ধের প্রায় চার লাখ গোপন নথি প্রকাশ করে ওয়েবসাইটটি। এ ছাড়া গত জুলাইয়ে প্রকাশ করে আফগান যুদ্ধের বিষয়ে মার্কিন বাহিনীর ৯২ হাজার গোপন নথি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব রবার্ট গিবস জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা উইকিলকিস প্রসঙ্গে অবগত আছেন। গিবস বলেন, ‘এসব গোপন তথ্য চুরি ও প্রকাশ করা এক ধরনের অপরাধ।’ হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন গিবস। ওবামা প্রশাসন কি উইকিলিকসের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো জবাব না দিলেও তা নাকচ করেননি তিনি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব বলেন, এসব নথি প্রকাশের ফলে আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে এর প্রভাব পড়বে, তা আমি বিশ্বাস করি না।’ তিনি জানান, এ ঘটনার তদন্ত চলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, নিজেদের স্বার্থে সব দেশ একে অপরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করতে পারে বা সম্পর্ক তৈরি করতে পারে। তাই উইকিলিকস যেসব তথ্য প্রকাশ করেছে, তা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রভাব ফেলবে না। তিনি আরও বলেন, ‘নথি প্রকাশের ঘটনায় অনেকের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে।
মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, উইকিলিকসের তথ্য ফাঁসের ঘটনায় তদন্ত চলছে। হোয়াইট হাউস, পররাষ্ট্র দপ্তর ও পেন্টাগন জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হং লেই বলেছেন, চীন আশা করে গোপন তথ্য ফাঁসের বিষয়টি যথাযথভাবে মোকাবিলা করবে।  বেইজিংয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না গোপন নথি প্রকাশকে কেন্দ্র করে বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হোক।’
এদিকে ইকুয়েডর উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জকে সে দেশে আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিনট্টো লুকাস বলেন, ‘আমরা বিনাশর্তে ও কোনো ঝামেলা ছাড়াই তাঁকে ইকুয়েডরে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত।’

এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।*
(*খবরটি প্রথম আলো থেকে নেওয়া হয়েছ)

আপডেট-১

উইকিলিকসে যুক্তরাস্ট্রের ইরাক যুদ্ধের নথি প্রকাশের পর পরই টুইটার, ফেসবুক সহ নানা সামাজিক নেটওয়ার্কে উইকিলিকসের উপর আলোচনার ঝড় বইতে থাকে এবং গুগলেও সর্বাধিক সার্চ হয়। সবাই উইকিলিকসের টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড দেওয়াতে ব্যান্ডউইথ সমস্যাও দেখা দেয়। আরেকটা মজার বেপার হলো উইকিলিকস এমনভাবে তথ্যগুলোকে (এমনকি সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটটিকে) ডাউনলোডেবল করে রেখেছে যে, সাইটি বন্ধ হয়ে গেলেও সম্পূর্ণ ওয়েবসাইটির কপি থেকে যাবে অনেকের কাছে।

আজ সকালে চীন রাস্ট্রিয়ভাবে সাইটটি ব্লক করে দিয়েছে।

আপডেট-২

ইন্টারপোল উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা Julian Assange এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। উইকিলিকসের কাজের বেপারেই একবার সুইডেন গিয়ে তিনি নরীঘটিতে কেলেংকারিতে জারিয়ে পড়েন বলে-অভিযোগ করা হয়। সুইডেন সরকার এরেষ্টনামা EAW (European Arrest Warrant) এর কাছে হস্তগত করেছে। গার্ডিয়ানের খবরে তার লন্ডনের ভক্তদের আশ্রয়ে থাকার সম্ভাবনা উল্লেখ করে।
»» read more

হ্যাকারদের আক্রমনের শিকার হলো Visa.com: উইকিলিকস সংবাদ

উইকিলিকস সংবাদে আমার সাথে থাকার জন্য সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এর আগের সংবাদগুলোতে অনেকের আলোচনা করেছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।এটা ঠিক যে,  আমেরিকা বিদ্বেসী মনোভাব, তথ্য প্রাপ্র্যতার বেপারে উৎসাহী বিশ্বের লাখ লাখ লোক ও প্রতিষ্ঠান উইকিলিকস ও জুলিয়ান আসাঞ্জের ভক্ত হয়ে গেছে। আমি খবরগুলোতে নজর রেখে চলছি । কয়েকটি তাজা খবর নিয়ে আজকের উকিলিকস সংবাদ।


ভিসা ডট কমে হ্যাকারদের আক্রমন

এনোন অপারেশন নামের একটি গ্রুপের সদস্যরা আক্রমন চালিয়েছে ভিসা ডট কমে। পোষ্ট লেখার সময় পর্যন্ত সাইটটি ডাউন ছিল। এর আগে অপারেশন প্যা ব্যাকের মাধ্যমে বেশ কিছু কমর্কান্ড পরিচালিত হয়। তার বিবরণ নিচে দেওয়া হলোঃ
ক. তারা মাষ্টারকার্ডের ওয়েবসাইটে ব্যাপক হামলা চালায়।

খ. জো-লিবার ম্যানের ওয়েবসাইট ১২ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যায় এই এটাকে। এটাই প্রথম .gov ডোমেইন যা এই আকমনের শিকার।

গ. সারাহ পলিনের ওয়েবসাইটটি অফলাইন করে রাখা হয়েছে।

ঘ. পোষ্ট ফিন্যান্সের সাইটটি আরো ঝামেলায় পরে। তারা তাদের কাষ্টমারদের সাথে টাকা আদান প্রদান করতে পারে নি।

ঙ. জুলিয়ান আসাঞ্জের বিরুদ্ধে যে আইনজীবি দাড়িয়েছে তার ওয়েবসাইটও ডাউন হয়ে রয়েছে।

চ. প্যাপালের ব্লগটি সাময়িক ডাউন ছিল।
ফেসবুক ও টুইটার উভয়ই এনোন অপারেশনের একাউন্ট মুছে দিয়েছে, যদও উইকিলিকসের একাউন্টটি জীবন্ত আছে।

বিল ক্লিন্টনের ভাষণঃ

আমেরিকার ৪২ তম প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন উইকিলিকসের তথ্য ফাঁসের বেপারে কথা বলেছেন। তিনি মূলতঃ তিনটি বিষয়ের (Inequality, instability and unsustainability.) উদাহরন টানতে গিয়ে বলেন, বিশ্বের সাইবার নিরাপত্তা এখনো হুমকির মুখে পড়ে আছে।

টুইটারের ঘোষনাঃ

টুইটার #WikiLeaks শব্দটা ২৬ নভেম্বর থেকে আলোচিত টপিক হিসেবে দেখাচ্ছে না। অথচ এই বিষয়ে টুইটারে ব্যপক আলোচনা হচ্ছে প্রতিদিন। টুইটার ব্লগে মুখপাত্র বলেন,

Trending Topics are “designed to help people discover the ‘most breaking’ breaking news across the world… Captur[ing] the hottest emerging topics, not just what’s most popular,….
… “Topics break into the Trends list when the volume of Tweets about that topic at a given moment dramatically increases,


»» read more

সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১০

পরিচিত হোন ফেইসবুকের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যবহারকারীর সাথে

এক সময় ফেইসবুক শুধুমাত্র তরুন প্রজন্মের ক্রেজ ছিল। কিন্ত এখন আর সেই দিন নেই। আমার মামা-মামী যখন ফেইসবুকে একাউন্ট খুললো, তখন সত্যি অবাক হয়েছিলাম। আর ভাবছিলাম কবে জানি আমার মা-বাবা বলে তাদেরও ফেইসবুকে একাউন্ট আছে। এখন প্রায় সবার বন্ধু-বান্ধবের পাশাপাশি, মামা, চাচা, খালা এমনকি বাবা-মাও ফ্রেন্ড লিস্টে রয়েছেন। তবে আজকাল আরেকটি মজার বিষয় দেখা যাচ্ছে। দুনিয়ার সবচেয়ে বয়স্ক ব্যাক্তিরাও যোগ দিচ্ছেন ফেইসবুকে


ইনি Lillian Lowe। ১০৩ বছর বয়স্ক ইনিই বর্তমানে ফেইসবুকের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যবহারকারী। এর আগে ১০৪ বছর বয়স্ক এক ব্যবহারকারী গত জুলাই এ মারা যাওয়ার পর, এই খেতাব অর্জন করেন Lillian। তারা দু’জনেই ইংল্যান্ডের নাগরিক। আর বলাই বাহুল্য, ইংরেজরা সহজে বুড়ো হয়না  এখানে ৬০-৭০ বছর বয়স্ক পুরুষ-মহিলারা যুবকদের মতই দিব্যি রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়।
ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালকে তিনি বলেছেন যে ফেইসবুকে তার ৩৪ জন বন্ধু রয়েছে। তাদের মধ্যে তার ৭ জন নাতী-নাতনী এবং তাদের ছেলেমেয়েও রয়েছেন। মূলত আইপ্যাড ব্যবহার করেই তিনি ফেইসবুক ব্রাউজ করেন। ফেইসবুক সম্পর্কে তার মতামতঃ


“I love it — it’s very exciting. It’s a wonderful way of finding out about things. I recommend it for any grandparents to keep in touch with family.”


যদিও ফেইসবুক এখনো নিশ্চিত করেনি যে তিনিই ফেইসবুকের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যাক্তি। তবে তিনি তার পরিবারের সাথে ফেইসবুকের মাধ্যমে আরেকটু ঘনিস্ট হওয়ার সুযোগ পেয়ে সত্যি আনন্দিত।


»» read more

পুরাতন দিনের কিছু পিডিএ

আজকে আমি আপনাদের সামনে নিয়ে আসব পুরাতন দিনের কিছু পিডিএ। আমার সংগ্রহে তেমন কোন পিডিএ নেই। যে কয়েকটা আছে, সে গুলোকেই এখানে নিয়ে আসলাম।


পাম এম ১০০ (Palm m100):

প্রথম দিক কার পিডিএ –র কথা বলতে গেলে পাম এম১০০ এর কথা প্রথমেই আসবেই। ২০০০ সালের অগাস্ট মাসে প্রথম বের হওয়া এই পিডিএ টি, ১৬ মেগা হার্জ এর মটোরোলা ই যেড ড্রাগনবল প্রসেসর এ চলত। এর র‍্যাম ছিল মাত্র ২ মেগাবাইট। ৪.৬৬ ইঞ্চি লম্বা, ৩.১০ ইঞ্ছি প্রস্থ এবং ০.৭২ ইঞ্ছি পুরু এই এম ১০০ পিডিএ টি দুটি পেন্সিল ব্যাটারির মাধ্যমে এর পাওয়ার সংগ্রহ করত।



পাম পাইলট প্রো (Palm Pilot Professional) :

১৯৯৭ সালের ১লা মার্চ প্রথম বের হয় পাম পাইলট প্রো।এটা ছিল, পাম পাইলট ৫০০০ এর একটি আপগ্রেড ভার্সন।এই পিডিএ টি, ১৬.৫৮ মেগা হার্জ এর মটোরোলা ৬৮৩২৮ ড্রাগনবল প্রসেসর এ চলত। এর র‍্যাম ছিল মাত্র ১ মেগাবাইট।স্ক্রীন রেসুলেশন ১৬০X১৬০। ৪.৬ ইঞ্চি লম্বা, ৩.২ ইঞ্ছি প্রস্থ এবং ০.৭২ ইঞ্ছি পুরু এই পিডিএ টি দুটি AAA ব্যাটারির মাধ্যমে এর পাওয়ার সংগ্রহ করত, যা একে ৩০ ঘন্টা পর্যন্ত চালাতে সক্ষম ছিল। এর অপারেটিং সিস্টেম ছিল, পাম ওএস ২.০।


পাম এম ৫০০ (Palm m500):

৬ই মার্চ ২০০১ সালে প্রথম বাজারে আসে এই, পাম এম ৫০০। ৩৩ মেগাহার্জ এর মটোরোলা ড্রাগনবল যেডভি প্রসেসর এর এই পিডিএ তে ৮ মেগাবাইট এর র‍্যাম ছিল। এর স্ক্রীন রেসুলেশন ছিল, ১৬০X১৬০ পিক্সেল ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট। ৪.৪৯ ইঞ্চি লম্বা, ৩.০২ ইঞ্ছি প্রস্থ এবং ০.৪৬ ইঞ্ছি পুরু এই পিডিএ টি ইন্টারনাল লিথিয়াম পলিমার –রিচার্জেবল ব্যাটারির মাধ্যমে চলত। এর অপারেটিং সিস্টেম ছিল, পাম ওএস ৪.০।




কমপ্যাক আই প্যাক ৩৬৩০ (Compaq iPAQ 3630):

জুন ২০০০ সালে প্রথম বাজারে আসে কমপ্যাক আই প্যাক ৩৬৩০। উইন্ডোজ পকেট পিসি ২০০০ অপারেটিং সিস্টেম এ চলা এ পিডিএ টি। এতে ছিল, ৩২ মাগাবাইট র‍্যাম এবং ১৬ মেগাবাইট রম। এর ইন্টেল স্ট্রং আর্ম এস এ ১১১০ (৩২ বিট) প্রসেসর টি ২০৬ মেগাহার্জ স্পীড এ কাজ করত।এর ডিসপ্লে ছিল, কালার রিফ্লেক্টিভ টি এফ টি (Thin Film Transisot) এল সি ডি, যাতে ২৪০X৩২০ পিক্সেলে ছবি দেখা যেত। ৫.১১ ইঞ্চি লম্বা, ৩.২৮ ইঞ্ছি প্রস্থ এবং ০.৬২ ইঞ্ছি পুরু এই পিডিএ টি এর ভেতরে থাকা, ৯৫০mAh লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি প্রায় ১২ ঘন্টা কাজ করত।


»» read more

শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১০

মার্ক জুকারবার্গ তার বেশিরভাগ সম্পদ দান করবেন চ্যারিটিতে

ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা খ্যাত মার্ক জুকারবার্গকে এখন প্রায় সবাই চিনে। ফেইসবুকের কল্যানে এক প্রকার সেলিব্রেটি হয়ে গেছেন তিনি। মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি দুনিয়ার সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার দের মধ্যে একজন। তবে তিনি এইসবই নিজের করে রাখতে যাচ্ছেন না। বিল গেটস এবং ওয়ারেন বাফেট এর Giving Pledge এ সাক্ষর করার মাধ্যমে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন, তার অর্ধেকেরও বেশি সম্পত্তি তিনি চ্যারিটিতে দান করবেন।


তবে এমন নয় যে এটাই জুকারবার্গের প্রথম দান করার নিদর্শন। তিনি এর আগে একটি মুক্ত সামাজিক যোগাযোগ প্রজেক্টে বেশ ভাল অংকের টাকা এবং পাবলিক স্কুলের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন। তিনি আশা করেন পাবলিক স্কুলের পুরানো পদ্ধতি বদলাতে এই দান সাহায্য করবে।

তবে ‘Giving Pledge’ একটি ভিন্ন বিষয় যেখানে আরও ৫৭ জন্য মাল্টি-মিলিয়নিয়ার এবং বিলিয়নিয়ার এর সাথে যুক্ত হয়েছে মার্ক জুকারবার্গ এর নাম। ওয়ারেন বাফেট, বিল গেটস, পল এলেন এর মত আরও অনেক বিলিয়নিয়ার এর মত মার্ক জুকারবার্ক এখানে সাক্ষর করে প্রতিজ্ঞা করেছেন তার জীবদ্দশায় অথবা মৃত্যুর পর তার সকল সম্পদের বেশিরভাগ অংশ চ্যারিটিতে দান করে যাবেন।

এ প্রসংগে তিনি একটি সুন্দর উক্তি করেছেনঃ


“People wait until late in their career to give back. But why wait when there is so much to be done? With a generation of younger folks who have thrived on the success of their companies, there is a big opportunity for many of us to give back earlier in our lifetime and see the impact of our philanthropic efforts

ফোরবস এর মতে জুকারবার্গ এর সম্পদের পরিমান প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার। এর কল্যানে তিনি হয়েছেন ৩৫তম ধনী এমেরিকান। যদিও অনেকে তাকে সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার বলে মনে করে, কিন্তু আসলে ফেইসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা Dustin Moskovitz এ স্থানটি দখল করে আছেন যার সম্পদের পরিমান প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলার। আর তিনি জুকারবার্গের চাইতে মাত্র ৮ দিনের ছোট 
»» read more

বুধবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১০

জুলিয়ান আসাঞ্জ গ্রেপ্তারঃ জামিন আবেদন খারিজ

উকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়াস আসাঞ্জ শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হলেন ইংল্যান্ডে। উইকিলিকসের কাজের জন্য সুইডেন ভ্রমনে গিয়ে নারী ঘটিত কেলেংকারীতে জড়িয়েছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে সুইডেনের অভিযোগ  পরবর্তিতে ইন্টারপোলে প্রেরণ করা হয়। তিনি নিজেই আত্নসমর্পন করেছেন বলে জানা যায়। এদিকে বিকেলে তিনি জামিন আবেদন করলেও তা মঞ্জুর করা হয়নি এবং ১৪ই ডিসেম্বর আরেকটি শুনানি হবে বলে জানা গেছে।

উইকিলিকসের মুখপাত্র ক্রিস্টিন রাফসন জানান, উইকিলিকসে আগের মতোই নিজের কর্মকান্ড পরিচালিত হবে।

আসাঞ্জ জানান, অস্ট্রেলিয়ার উচিৎ  তার পাসে এসে দাড়ানো (যেহেতু তিনি একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক)। তিনি আরো বলেন যে, উইকিলিকসের মতো অনেক মিডিয়াই একই রকম তথ্য ফাঁস করেছে তাতে কোন সমস্যা হয় নি। আমেরিকার এমবাসি কেবলের তথ্য শুধু তার ওয়েবেই প্রকাশিত হয় নি বরং বড় বড় সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমস সহ অনেক সংবাদ মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়েছে।

উল্লেখ্য যে এর আগে,

১. উইকিলিকসের আমাজন ডাটাসেন্টার বন্ধ করা হয়।

২. পেপ্যাল একাউন্ট বন্ধ করা হয়।

৩. ডিএনএসটিও বাতিল করে দেয় এবং http://wikileaks.ch/mirrors.html
সচল রয়েছে।

৪. টুইটার তাদের ট্রেন্টিং টপিক থেকে উইকিলিকস শব্দটি সরিয়ে দেয়।

৫. সুইডেনের ব্যাঙ্ক একাউন্টও বন্ধ করা হয়।

সবচেয়ে মজার বেপার হলো এত কিছু হওয়ার পরেও উইকিলিকসের জনপ্রিয়তা কল্পনাতীত। অনেকে এটাকে নতুন ধরনের সাংবাদিকতা বলে আখ্যা দিয়েছে। সারা বিশ্বে বিশাল জনশক্তি বিনা বেতনে কর্মরত আছে অবাধ তথ্যপ্রবাহের লক্ষ্যে।
»» read more

মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১০

গুগল চালু করলো বহু প্রতীক্ষিত ই-বুক স্টোর

সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গুগল চালু করলো সকলের বহু প্রতীক্ষিত ই-বুক স্টোর। প্রায় ৪ হাজার প্রকাশকের ৩ মিলিয়ন বই নিয়ে চালু হলো বিশাল আকৃতির এই ই-বুক স্টোর। ইউএসএ তে এর বেশিরভাগ বই-ই ফ্রী তবে অন্যদের হতাশ হবার কোন কারন নেই। মোটামুটি সবার জন্যই কিছু ফ্রী বই থাকছে এতে এবং এর সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই আরও বাড়বে ভবিষ্যতে।

এই উদ্যোগটি আগে গুগল এডিশন নামে পরিচিত ছিল যা বর্তমানে বই বিক্রির জগতে অন্যান্যদের মত সার্ভিস দিয়ে যেতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। গুগলের বুক স্টোর এর পাশাপাশি এসব বই অন্যান্য অনলাইন ভেন্ডর থেকেও কেনা যাবে। একটি এফেলিয়েট প্রোগ্রামও চালু হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই।

গুগল ওয়েব রিডার এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বই তাদের বাসার কম্পিউটার, অফিস কম্পিউটার, এন্ড্রয়েড অথবা আইওএস ডিভাইস থেকে পড়তে পারবেন। ডিভাইসগুলো সয়ংক্রিয়ভাবে সিংক হবে। অর্থাৎ আপনি যদি বাসায় ৪৫ নম্বর পাতায় পড়া শেষ করে থাকেন, তখন গাড়ীতে বসে আপনার এন্ড্রয়েড বা আইওএস ডিভাইস থেকে ঠিক সেই যায়গা থেকে পড়া শুরু করতে পারবেন।
নিঃসন্দেহে এটি গুগলের একটি বড় ধরনের উদ্যোগ। শুরুতেই ৪,০০০ প্রকাশক নিয়ে চালু করা তারই একটি সাক্ষর। প্রকাশক, এফেলিয়েটস এবং সর্বোপরী পাঠকদের আগ্রহের একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হবে এই ই-বুক স্টোর এমনটাই আশা করছেন সবাই। ঘুরে আসুনঃ http://books.google.com/ebooks
»» read more

সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১০

গুগল সার্চে যুক্ত হলো প্রিভিউ দেখার সুবিধা

ইউজার এক্সপেরিয়েন্স কথাটির সাথে অনেকেই খুব ভালভাবে পরিচিত না হলেও প্রোগ্রামার এবং ওয়েব ডেভলপারদের এ বেপারটি ভাবতে হয়। একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী বা ওয়েবের ভিজিটর কি কি সুবিধা আশা করে? কি কি সুবিধা আশা করে না অথচ সুবিধা প্রয়োজনীয়? কি কি সুবিধা অন্য ওয়েব থেকে এই ওয়েবকে ভিন্নভাবে দেখবে এরকম অনেকগুলো বেপারই বুঝে নিতে হয়।


গুগল তার সার্চে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিবর্তন এনেছে। সার্চকে দ্রুতগতিসম্পন্ন রেখেই সার্চ তালিকায় ওয়েবসাইটটিতে না গিয়ে পাতাটি দেখার ব্যবস্থা চালু করেছে গতকাল। মূলতঃ অনুসন্ধানকৃত পাতাটির ডান পাসের সার্চ আইকনটিতে ক্লিক করলেই পাতাটি দেখা যাবে।



গুগলের ইঞ্জিনিয়ার বেন গ্রোম এ বেপারে বলেছেন, কিছু কিছু ভিজিটর আছেন তারা সুনিদিষ্ট পাতাটির জন্যই অনুসন্ধান করে থাকে। উদাহরন স্বরূপ আপনার যদি নির্দিষ্ট কোন চার্ট,গ্রাফ বা ছবি সম্মিলিত কোন পাতা অনুসন্ধান করেন তাহলে প্রিভিউ দেখে সেই পাতাটিতে ভ্রমন করা বা না করার বেপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। প্রিভিউটি এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যাতে সহজে পাতাটি স্ক্যান করা যায়।

এর আগেও সার্চে বেশ কয়েকবার পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে, যেমন গুগল সার্চ পাতায় টুইটারের আপডেট আলোচনা দেখা ও অবস্থান ভিত্তিক স্থানীয় সার্চ। মাইক্রোসফটের বিং এর সার্চে ফেসবুকের বন্ধুদের পছন্দের আপডেট দেখার ব্যাবস্থা।এই পরিবর্তনটি সম্ভবতঃ গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোর মধ্যকার পার্থক্য আরও বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করতে পারবে।
»» read more

সাপ যখন আকাশে উড়ে

সাপ কি আকাশে উড়তে পারে? পারে বৈকি। তবে সব গুলো নয়। মোটামুটি ৫ প্রজাতির সাপ উড়তে পারে। তবে এই উড়াকে পাখির আকাশে উড়ার সাথে তুলনা করা যাবে না। সাপের উড়ার পদ্ধতি অনেকটা গ্লাইডিং এর মত। মোটামুটি ৮০ ফিট দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম এরা। লাফ দেয়ার সময় এরা সরাসরি নিচের দিকে না পড়ে কিছুটা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। অনেকটা গ্লাইডার এর মত এরা একটি গাছ থেকে আরেকটি গাছে উড়ে যায়।



বিজ্ঞানিরা সাপের উড়ার ছবি এবং ভিডিও ধারন করেছেন। তারা গবেষনা করেছেন সাপ কিভাবে এই কাজটি করে থাকে। ‘আমেরিকান ফিজিক্যাল সোসাইটি’ লং বিচে হওয়া এক মিটিং এ বিশ্লেষন করার চেস্টা করেছেন সাপের উড়ার পদ্ধতিটি। তাদের মতে, উড়ার সময় সাপ তাদের ওজন কমিয়ে ফেলছে না বা অসম্ভব কিছুও করছে না। এধরনের সাপগুলো শরীরের আকৃতি অনেকটা ভোঁতা যা উর্ধমূখী বাতাসের দ্বারা কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হয়। আর সাপের আকৃতি অনেকটা এরো ডায়নামিক অর্থাৎ দ্রুতগতিতে সামনের দিকে যাওয়ার সময় বাতাসের দ্বারা খুব একটা বাধাপ্রাপ্ত হয় না। চিতা কিভাবে দ্রুত দৌড়াতে পারে এই সম্পর্কিত একটি পোস্টে এরো ডায়নামিক শেপ নিয়ে লেখা হয়েছে। এধরনের সাপগুলো একটু বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। উড়ার পূর্বে এরা শরীরকে বিশেষ একটি আকৃতিতে নিয়ে আসে এবং তীব্র বেগে সামনের দিকে ছুঁড়ে দেয়। এরপর শরীরকে আগ-পিছ করে বাতাসের সাথে একটি সামঞ্জস্যতা তৈরি করে নেয় যা এটিকে অনেকটা সামনের দিকে নিয়ে যায়।

একদল বায়োলজিস্ট উড়ন্ত সাপকে ৪৯ ফিট উঁচু টাওয়ার থেকে ছেড়ে দেয়া এবং এর উড়ার দৃশ্যটি ভাল মানের ক্যামেরায় ধারন করা হয়। এরপর সেই ভিডিও বিশ্লেষন করে তারা বিভিন্ন তথ্য বের করেন। সাপের উড়ার এই পদ্ধতির উপর নির্ভর করে বিশেষ ধরনের আকাশযান তৈরির কথাও তারা ভাবছেন যেটি কম জ্বালানি খরচ করবে। নিচের ভিডিও দুইটি থেকে আরও ধারনা নিতে পারেন।






»» read more

শনিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১০

ফাইল বা ফোল্ডারে পাসওয়ার্ড দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন সফটওয়্যার ছাড়াই!

বিভিন্ন ফাইল বা ফোল্ডারের নিরাপত্তার জন্য ব্যক্তিগত কিংবা অফিসের কম্পিউটারে অনেকেই পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন। এজন্য বিভিন্ন থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে দেখা যায় যার বেশিরভাগই ফ্রি নয়। অপরদিকে এগুলো ব্যবহার করাও বেশ ঝামেলার ও ব্যয়বহুল। আবার কিছু কিছু সফটওয়্যারের মাঝে নিরপত্তা ত্রুটিও দেখা যায় ফলে অনেকসময় সফটওয়্যারগুলো নিরপত্তা দেয়ার বদলে উল্টো নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার ঘটনাও কম শোনা যায় না।


এমন যদি হত কোন সফটওয়্যার ছাড়াই সবকিছু পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখা যেত তাহলে বেশ ভালই হত। আর এমনই একটি পদ্ধতি বের করেছেন আদনান ভাই। প্রথমেই বলে নিচ্ছি এই পোস্টের তথ্যগুলো আমি আদনান ভাইয়ের কাছ থেকেই জেনেছি এবং এখানে ব্যবহৃত কোডটাও তারই লেখা। এজন্য আদনান হোসেইন ভাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে তার সাথে বর্তমানে যোগাযোগ না থাকায় তার অনুমতি ছাড়াই পদ্ধতিটা শেয়ার করলাম। আমি মনে করি প্রযুক্তি ও এর জ্ঞান সবার জন্যই উন্মুক্ত। তাছাড়া এর পেছনে কোন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যও নেই এবং তিনি নিজেই এই টেক্সট ফাইলটি ফাইল শেয়ারিং সাইটে আপলোড করে দিয়েছিলেন। আশা করি তিনি না বলতেন না। তাই পদ্ধতিটি এখানে শেয়ার করছি।



এজন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

১। প্রথমে এখান থেকে এই .txt ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
 



২। এবার  ফাইলটি নোটপ্যাড দিয়ে ওপেন করে  type your password here লেখা জায়গাটাতে এই লেখাটি মুছে আপনার কাঙ্খিত পাসওয়ার্ডটি লিখুন।== চিহ্নটির পর কোন স্পেস দেবেননা। == চিহ্নটার সাথেই পাসওয়ার্ডটি লিখতে হবে এবং goto লেখাটার আগে একটা স্পেস দিতে হবে

৩। এবার নোটপ্যাডের উপরে বামপাশের ফাইলে যেয়ে Save As দিন এবং আপনার পছন্দ মত যেকোন নাম দিয়ে নামের শেষে .bat (উদাহরন: folderlock.bat) লিখে সেভ করুন, অর্থাৎ .bat এক্সটেনশনে সেভ করুন।


৪। এবার এখান  থেকে .bat থেকে .exe তে কনভার্ট করার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন। .bat থেকে .exe তে কনভার্ট না করলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ত্রুটি দেখা যায়। অনেকসময় .bat ফাইলটি এডিট করা যায় এবং পাসওয়ার্ডও প্রকাশ হয়ে যাবার ঝুকি থাকে। তাই কনভার্ট করে নিলে আর কোন প্রকার ঝুকি থাকেনা। এরপর কনভার্টারটি চালু করুন এবং Batch File এর জায়গায় আপনার ফাইলটি সিলেক্ট করুন। Visibility অপশনটিতে অবশ্যই Visible Application দিতে হবে, চাইলে আপনি বাড়তি নিরপিত্তার জন্য Encryption অপশনটিতে Encrypt the program এ টিক চিহ্ন দিয়ে এখানেও একটা পাসওয়ার্ড দিয়ে দিতে পারেন। অ্যাপ্লিকেশনটা প্রতিবার চালু হবার সময়ই এই পাসওয়ার্ডটি এন্টার করতে হবে। সব হয়ে গেলে Compile দিন। দেখবেন .exe এক্সটেনশনের একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হয়েছে। 
 


৫। এবার .exe ফাইলটি যেখানে সেভ করেছেন সেখানে যান এবং ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করুন। ডাবল ক্লিক করার সাথে সাথে সেখানেই Locker নামের একটি ফোল্ডার তৈরি হবে। আর যদি Encryption অপশনে কোন পাসওয়ার্ড দিয়ে থকেন তবে ডাবল ক্লিক করার পর পাসওয়ার্ড চাইলে চালু করার জন্য ঐ পাসওয়ার্ডটি দিতে হবে।

                                     


৬। এখন ফোল্ডারটি ওপেন করুন এবং যেসব ফাইল বা ফোল্ডার লক করতে চান সেগুলো এই Locker ফোল্ডারে ট্রান্সফার করে নিন। সব ফাইল ট্রান্সফার করা হয়ে গেলে ফোল্ডারটি বন্ধ করুন।

৭। এবার আপনার সেভ করা .exe ফাইলটিতে আবার ডাবল ক্লিক করুন, পাসওয়ার্ড চাইলে কনভার্টারের Encryption পাসওয়ার্ডটি দিন এবং Command উইন্ডোতে Y প্রেস করে Enter দিন। দেখবেন ফোল্ডারটি গায়েব হয়ে গেছে। আর চিন্তার কিছু নেই, কম্পিউটারের Folder Option থেকে Show hidden files, folders and drives দিলেও এই ফোল্ডারটি কখনোই দেখা যাবেনা। এটা সবসময়ই গায়েব থাকবে ।


৮। এবার ফোল্ডারটি ফিরে পেতে হলে আবার ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করুন, অ্যাপ্লিকেশন স্টার্টের সময় পাসওয়ার্ড চাইলে কনভার্টারে দেয়া Encryption পাসওয়ার্ড দিন এবং পরবর্তিতে কমান্ড উইন্ডোতে পাসওয়ার্ড চাইলে একেবারে শুরুতে নোটপ্যাডে আপনার লেখা পাসওয়ার্ডটি টাইপ করে Enter দিন। দেখবেন ফোল্ডারটি আবার চলে এসেছে।



এভাবে যেকোন ফাইলই পাসওয়ার্ড দিয়ে লুকিয়ে রাখতে পারেন কোন থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ছাড়াই।


»» read more

শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১০

ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকার জন্য আপনার পিসির অটোরান বন্ধ রাখুন

অনেক সময় ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও কম্পিউটারে সিডি, ডিভিডি, কিংবা পেনড্রাইভ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়ে উঠে। কিন্ত সেই প্রয়োজন যদি হয় বিপজ্জনক তাহলে তো বিরক্তি লাগাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আসলে বেশিরভাগ ভাইরাস এই সমস্ত ডিভাইসগুলো পিসিতে কানেক্ট করানোর সাথে সাথে সয়ংক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে কম্পিউটারের  বিভিন্ন জায়গায়।


তাই সয়ংক্রিয়ভাবে ভাইরাস ছড়ানো থেকে পিসিকে নিরাপদে রাখার জন্য আপনি চাইলে আপনার পিসির রিমূভএবল ডিভাইসগুলোর অটোরান বন্ধ করে রাখতে পারেন। যাতে করে কোন রিমূভএবল ডিভাইস পিসিতে কানেক্ট করানোর পর, সয়ংক্রিয়ভাবে আপনার পিসিতে ভাইরাস ছড়াতে না পারে।

চলুন সেটিংসটি করে নেই

১। Start Menu > Run এ গিয়ে gpedit.msc লিখে এন্টার দিন।

২। Group Policy নামে একটি Window আসবে।

৩। Computer configuration > Administrative Templates > System Commend দিন।

৪। ডানপাশে অনেকগুলো Options দেখা যাবে।

৫। Turn off Auto play তে ডাবল ক্লিক করুন ফলে নতুন একটি Window আসবে

৬। Enable এবং All Drives নিবার্চন করে Apply > Ok করুন।



৭। পূর্বের সেটিংস এ পিরে যেতে ৬ নং Option এ থাকা অবস্থায় Not Configured করে দিতে হবে।
বিঃদ্রঃ- এই ট্রিক্সটি শুধুমাত্র সয়ংক্রিয়ভাবে ভাইরাস ছড়ানো থেকে আপনার পিসিকে নিরাপদে রাখবে। সুতরাং পেনড্রাইভে প্রবেশ করার পূর্বে অবশ্যই পেনড্রাইভ স্ক্যান করে নিন।
»» read more

পুরাতন দিনের জনপ্রিয় কিছু কম্পিউটার

আমার আগের দুটি পোস্ট এর সুত্র ধরেই আজকে আমার এ পোস্টটি করা। আজকে আমি আপনাদের সামনে আমার সংগ্রহে থাকা বেশ কিছু আদি যুগের (!) দুনিয়া কাপানো Personal Computer এর কথা তুলে ধরার চেষ্টা করব। জানি না কতটা সফল হব, কিন্তু আপনাদের কাছে ভাল লাগলেই আমার কষ্ট সার্থক হবে বলে মনে করব।

ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক (Macintosh Classic)

ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক বা ফ্যাট ম্যাক (ফ্যাট ম্যাক এর অফিসিয়াল নাম), প্রথম বের হয় জানুয়ারী ১৯৮৪ সালে। ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক এর সাথে ইন্টারনাল মনিটর তো ছিলই, অনেকে একে দেখলে বলে কম্পিউটার কথায়, এটাত একটা মনিটর। ৯ ইঞ্চি মোনক্রমের মনিটর। যাই হোক, ৮ মেগাহার্জের Motorola MC68000 সাথে কম্পিউটার টিতে ১ মেগাবাইট র‍্যাম এবং ৫১২ কিলোবাইট রম ছিল। এতে কোন প্রকার অপ্টিক্যাল ড্রাইভ বা হার্ড ড্রাইভ (ম্যাকিন্টোশ ক্লাসিক ২ তে ৪০ মেগা হার্ড ড্রাইভ ছিল) না থাকলেও ৮০০ কিলোবাইট এর একটি  ফ্লপি ড্রাইভ ছিল।

ম্যাকিন্টোশ এল সি ৪৭৫ (Macintosh LC475)

এর পরে যে কম্পিউটারটি নিয়ে আমি বলতে যাচ্ছি, সেটা হচ্ছে, ম্যাকিন্টোশ এল সি ৪৭৫। Motorola MC68LC040 প্রসেসরের ২৫ মেগা হার্জ ক্ষমতার এ কম্পিউটার টি ৪ মেগাবাইট র‍্যাম যার ১ মেগাবাইট শেয়ারড ছিল মেইন লজিক বোর্ড এর সাথে। লো প্রোফাইল ডিজাইন সাথে এক্সটারনাল ভিডিও মনিটর এবং ৮০ মেগাবাইট এর ইন্টারনাল হার্ড ড্রাইভ। এতে কোন প্রকার অপ্টিক্যাল ড্রাইভ না থাকলেও ১.৪ মেগাবাইট এর ফ্লপি ড্রাইভ ছিল



ম্যাকিন্টোশ পাওয়ার ৮৬০০/২০০ :

ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ এ বের হওয়া এ পাওয়ার পিসি টি ডটার কার্ড এ বসান ২০০ মেগাহার্জের পাওয়ার পিসি ৬০৪ ই প্রসেসর এ চলত।৪ মেগাবাইট রম এবং ৩২ মেগাবাইট র‍্যামের এ কম্পিউটার টিতে ২ মেগাবাইট ভিডিও র‍্যামও সংযুক্ত ছিল। এর স্ট্যান্ডার্ড হার্ড ড্রাইভ টি ৮০ মেগাবাইট এর হলেও চাইলেই অতিরিক্ত কিছু টাকা দিয়ে আপনি সে সময়কার ২ গিগাবাইট হার্ড ড্রাইভ নিতে পারতেন।এতে ১২x স্পীডের সিডি রম এবং ১.৪৪ মেগাবাইটের ফ্লপি ড্রাইভ ও ছিল।১৯৯৭ সালে এর দাম ছিল ৩২০০ ডলার।





সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম +( Sinclair Zx Spectrum+)

এ কম্পিউটার টি ছিল, ৩.৫৪ মেগাহার্জ এর যি-লগ যেড ৮০ এ প্রসেসর যুক্ত। সাথে ১৬ কিলোবাইট র‍্যাম। এর ডিসপ্লে ছিল, ৩২x২২ ক্যারেক্টার টেক্সট ডিসপ্লে, ২৫৬x১৯২ পিক্সেল রেজোলিউশান, ৮ কালার। এর স্টোরেজ সিস্টেম ছিল এক্সটারনাল টেপ রেকর্ডার অথবা মাইক্রোড্রাইভ।

সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম +১২৮ ( Sinclair Zx Spectrum+ 128)

সিনক্লিয়ার কম্পানি তাদের নতুন এবং আরও ইম্প্রুভড যেড এক্স স্পেকট্রাম + ১২৮ , কোড নেমঃ ডারবি (Zx Spectrum+ 128K, Code Name: Derby) যার প্রথম প্রদর্শন হয় ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এবং যুক্তরাজ্যে বিক্রি শুরু করে ১৯৮৬ সালে, যার দাম ধরা হয়েছিল মাত্র ১৭৯.৯৫ পাউন্ড (এটা মাত্র !!!!!) সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম + এর থেকে অবশ্যই নতুন কিছু আছে এতে… ১২৮ কিলোবাইট র‍্যাম, ৩২ কিলবাইট রম, এবং এক্সটারনাল কী- বোর্ড। এছাড়াও ছিল, ১৬ বিট Address বাসের নতুন যেড ৮০ প্রসেসর।নতুন সাউন্ড চিপ এবং মিডি আউট ছিল সিনক্লিয়ার যেড এক্স স্পেকট্রাম +১২৮ এর আরো একটি চমক।


কমোডোর ৬৪ (Commodore 64)

 জনপ্রিয় Personal Computer গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নাম হচ্ছে, কমোডোর ৬৪, যার আগের ভার্সন টি ছিল কমোডোর ভি আই সি – ২০ এবং পরের টি ছিল, কমোডোর ১২৮। কমোডোর ৬৪ বের হয়েছিল, অগাস্ট ১৯৮২ তে। কমোডোর কারনেল / কমোডোর বেসিক ২.০ ছিল এর অপারেটিং সিস্টেম। এর প্রসেসর ছিল মস টেকনোলজির ৬৫১০, যা ১.০২ মেগাহার্জ গতির (এন টি এস সি ভার্সন)। নামেই বোঝা যায়, ৬৪ কিলোবাইট র‍্যাম ছিল এর ভেতরে। আর গ্রাফিক্স এর কথা বলতে গেলে বলতে হবে, ৩২০x২০০ পিক্সেল এর ১৬ কালারে এর ডিসপ্লে দেখাত। কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে ছিল, CIA Joysticks, Cartridge, RF, IEEE-488 Floppy/ Printer, Digital Tape ইত্যাদি।

আল-আলামিয়াহ এ এক্স ১৭০ (Al-ALamih AX170):

জাপানে প্রস্তুত এ Personal Computer টি ১৯৮১ থেকে ১৯৮৯ এর মধ্যে কোন এক সময়ে তৈরি করা হয়েছিল। তবে এ কম্পিউটার টি এরাবিক দেশগুলোতে খুবি চলেছিল , যার প্রধান কারন ছিল, এর এরাবিক কী বোর্ড।যাইলগ যেড ৮০ প্রসেসরের এ কম্পিউটার টিতে ৬৪ কিলোবাইট র‍্যাম এবং ৩২ কিলোবাইট রম ছিল। এর ডিসপ্লেতে এটা ১৬ কালারের গ্রাফিক্স দেখাতে পারত।
বিঃদ্রঃ ইউরোপের রেটিং এ এই কম্পিউটার টি খুবি দুস্প্রাপ্য হিসেবে দেখানো আছে।


১। ছবি গুলো সমস্ত নেয়া হয়েছে http://computer-museum.110mb.com/ থেকে, details নেয়া হয়েছে, বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে।
»» read more