বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১০

ভবিষ্যতের প্রযুক্তিঃ তারহীন বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা

১৮৯৬ সালে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু কলকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে কলকাতা বিঞ্জানাগারের তিন কিরোমিটার দূরত্বে সিগনাল প্রেরণ করতে সমর্থ হন। সেই থেকে তারহীন জগতে প্রবেশ করে এ বিশ্ব। সব বৈদ্যুতিক পন্যকে তারের ঝামেলামুক্ত করার উদ্দেশ্যে কাজ চলছে। রেডিও, টিভি, মোবাইল প্রযুক্তি, ওয়ারলেস নেটওয়ার্কসহ সব তথ্যকে আদান প্রদানের জন্য তারহীন মাধ্যমের ব্যাবস্থা করা গেলেও তারের সংযোগ ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ করাটা অসম্ভব বলেই জানা ছিল।

WiTrycity ভবিষ্যতের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের কয়েকটি সফল প্রোজেক্ট সম্পাদন করেছে। তারহীন বিদ্যৎ সরবরাহ করা সম্ভব হরে মোবাইল ও ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার জন্য প্লাগ লাগানোর ঝামেলা থাকবে না। আর এই সুবিধাটির জন্য ম্যাগনেটিক ফিল্ড ব্যবহার করা হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট দুরত্বে কয়েলে প্যাচানো সলিনয়েডের চার পাসে একটা ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরী হয়- যা আবার বিদ্যৎ শক্তিতে রুপান্তরিত করা সম্ভব। বেপারটা মূলতঃ

বিদ্যুৎ শক্তি > তরিত্ব বিদ্যুৎ > বিদ্যুত শক্তি তে রুপান্তরের মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি চলে।

বিদ্যুৎ প্রবাহের বেপারটিতে বিদ্যুৎ শক্তির অপচয়ের বেপারটি সবচেয়ে বড় সমস্যা। যত বেশি দুরত্বে বিদ্যুৎ পাঠাতে হয় তত বেশি বিদ্যুৎ অপচয় হয়।
Eric Giler এর ওয়ারলেস বিদুৎ সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখুন। ভেডিওটিতে একটি এলসিডিটিভি ও একটি এপল আইফোন ওয়্যারলেস প্রযুক্তিতে কিভাবে পাওয়ার দেওয়া হলো তা দেখানো হয়েছে।



আমার ধারনা ওয়্যাররেস বিদ্যুৎ প্রবাহের পদ্ধতিটির চেয়ে সৌর বিদ্যৎ বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। কারন এটি একইসাথে ওয়্যারলেস ও শক্তির উৎস।
»» read more
রোবটিক গবেষনায় যেভাবে বিভিন্ন দেশ এগিয়ে চলেছে তাতে বলা যায় ভবিষ্যতে হয়তো পৃথিবীটাতে রোবটের রাজত্ব থাকবে। এর এরই ধারাবাহিক উন্নতির সাথে সাথে এবার আবিষ্কৃত হলো সাপ রোবট। Carnegie Mellon’s Biorobotics Lab এ সাপ আকৃতির রোবটটি এ উদ্ভাবিত হয়েছে যার নাম দেয়া হয়েছে ‘আঙ্কেল স্যাম’



এই রোবটটি বিভিন্নভাবে পথ অতিক্রম করতে পারে। এটি আড়াআড়িভাবে পথ অতিক্রম ও লম্বলম্বিভাবে গাছে উঠতে পারে। মূলতঃ সাপের বিভিন্ন পদ্ধতে পথ চলার উপরে গবেষনা করে এই রোবটটি তৈরী করা হয়। এর সামনের দিকে ক্যামেরা আছে যার মাধ্যমে সামনের বস্তু সম্পর্কিত ধারনা লাভ করে।



মানুষের মতো রোবট বানানোর চেয়ে এই রোবট অনেক সহজভাবে কাজ করতে পারবে। বিশেষ করে যেসব পথে যানবাহন চলাচল কঠিন সেখানে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য এটি বেশ কাজে দিবে। এছাড়াও ভুমিকম্প কবলিত দালানে জীবিত ব্যাক্তিদের খুঁজে বের করার কাজেও এটি সহায়তা করতে পারবে। তবে প্রাথমিকভাবে এর অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে পাওয়ার সাপ্লাই। অদূর ভবিষ্যতে এর পাওয়ার সাপ্লাই সহ আরো বিভিন্ন দিকের উন্নত করে বাজারজাত শুরু হয়েও যেতে পারে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা।

লেখাটি পছন্দ হলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং কমেন্টস দিন
»» read more