মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১০

শিরোনামহীনতায় বিশ্বাসী এপলের নতুন অপারেটিং সিস্টেম OS X

শিশু জন্মের কয়েকদিন পরেই তার নাম কি রাখা হবে তাই নিয়ে ভাবনা চিন্তা আর জল্পনা কল্পনা চলে বাবা মা আর পরিচিতদের মাঝে। নাম না রাখা পর্যন্ত এক এক জন এক এক নামে ডাকলেও নাম রাখার পরে শিশুটির সকল পরিচয় প্রকাশিত হয় তার একটি নামের মাধ্যমে। একই ভাবে কম্পিউটারের প্রতিটি প্রোগ্রামের পরিচায়ক নামটি আমরা দেখতে পাই তার টাইটেলবারে। কিন্তু এপলের OS X Lion নামক পরিবর্তি অপারেটিং সিস্টেমটিতে থাকবে না টাইটেলবারে। নিচের ছবিটিতে দেখুন এ অপারেটিং সিস্টেমের ভিজুয়াল ইন্টারফেস।


ম্যাক প্রায়শই একেবারে ভিন্ন চিন্তার নতুন নতুন প্রযুক্তি পন্য এনে দিচ্ছে মানুষের হাতের নাগালে। নতুন এ অপারেটিং সিস্টেমটিতে তারই ধারাবাহিক প্রকাশনা দেখা যায়। মোবাইল এপ্লিকেশনগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যায় যে, অধিকাংশ এপ্লিকেশনে তার নিজের শিরোনাম/এপ্লিকেশনটির নাম লেখা থাকে না। আইপডের জন্য সুন্দরবাবে সামঞ্জস্য এ অপারেটিং সিস্টেমটিতে সম্পূর্ণ স্ক্রিনে এপ্লিকেশনগুলো দেখানোর প্রয়াশই চলছে।
একটা কথা বলা প্রয়োজন যে, নিত্য দিনে একই ধরনের ডিজাইন আর চিন্তা চেতনায় আমরা অনেকটা একমূখী হয়ে পরেছিলাম। ডিজাইনের ক্ষেত্রে ব্যাপক ধরনের পরিবর্তনের একটা চিন্তা ধারা আর নতুন মোবাইল প্রযুক্তি এক সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। খুব অল্প দিনেই হয়তো কম্পিউটারের আপারেটিং সিষ্টেমগুলো অনেক বেশি ভিন্নতা নিয়ে আসবে। গুগল এন্ড্রয়েড, লিনাক্স ও তার বিভিন্ন সংস্করণ, ওপেন সোর্স সিএমএস , নিত্য নতুন ওয়েব ও মোবাইল এপ্লিকেশনগুলো এখন সবাইকে প্রযুক্তির ভিন্নতা উপস্থাপন করতে পথ দেখাচ্ছে।


থাম্বনেইল আকারে বিভিন্ন এপ্লিকেশনগুলোর তালিকা বিভিন্ন রকমে সাজানো ও তার নান্দনিক প্রকাশনাও দেখতে পাওয়ে যাবে এখানে। লক্ষনীয় যে, আগে যেখানে নাম ধরে প্রোগ্রামগুলোকে খোলা হতো এখন তা না করে এপ্লিকেশনটির ছবি দেখে তা খোলা হবে।
আদিকালে মানুষের ভাব প্রকাশ করতে বিভিন্ন চিত্রাঙ্কন করা হতো। এখন হয়তো আমরা সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছি। মতামত আর আলোচনার প্রত্যাশা রইলো।
»» read more

আসছে গ্লাভসের মতো দেখতে এয়ার মাউস

গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত পরিমাণে মাউস ব্যবহার করার কারণে রিপিটিটিভ স্ট্রেস ইনজুরি হতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের মধ্যে অনেকেই অতিরিক্ত বলতে দিনের মধ্যে বেশ কয়েক ঘন্টা কম্পিউটার ব্যবহার করি। সর্বপ্রথম স্ট্যানফোর্ড রিসার্স ইন্সটিটিউটে মাউস শব্দটি ১৯৬৫ সালর দিকে ব্যবহৃত হওয়া ও ১৯৮৪ সালের দিকে বানিজ্যেকভাবে এ্যপল ম্যাকিনটোশের সাথে বাজারে আসার পর থেকে এ যন্ত্রটি কম্পিউটার ব্যাহারকারীদের অত্যন্ত প্রিয়। এক কথায় বলতে গেলে আজকের দিনে মাউসই কম্পিউটার ব্যাবহারের চাবিকাঠি। হালের নোটবুক বা নেটবুকে শক্তিশালী টাচপ্যাড থাকার পরেও অনেককে ইউএসবি মাউসেই সাচ্ছন্দ বোধ করতে দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে এটি কম্পিউটার ব্যবহাকারীদের জন্য কাল হয়ে দাড়াচ্ছে। উপরে বর্ণিত রিপিটেটিভ ইনজুরি আজকাল প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যারা অতিরিক্ত গেম খেলে। সৌভাগ্যবশত মাউস ব্যবহার করার বিকল্প একটি উপায় আছে যা হাত ও বাহুর জন্য আরও বেশি সহজ হবে। এর মধ্যে মজাদার একটি হলো এয়ার মাউস যা অল্প কিছুদিনের মাঝেই বাজারে  আসবে। এটি তৈরি করেছে কানাডিয়ান একটি ফার্ম-  ডেনমার্ক লিমিটেড।


এটি ইউনিক যে ব্যাপারটির জন্য তা হলো এটি গ্লোভের মতো করে হাতে পরতে হবে। ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক বাজরামোভিক এবং ওরিন টেসলার বিশ্ববিদ্যালয়ে সহপাঠি ছিলেন। মার্ক বলেন, ‘আমাদের প্রথম বর্ষের মাঝামাঝি সময়ে আমি একটা কম্পিউটার মাউস বানিয়েছিলাম (যা ব্যবহার করলেও রিপিটিটিড স্ট্রেস ইনজুরির সমস্যা হতো) এবং সেটা ব্যবহার করে প্রায় কয়েক সপ্তাহ আমার হাত এবং বাহু অসাড় হয়েছিল। অসাড়তা, ব্যাথা সে সব কিছুই যা তোমরা রিপিটিটিভ স্ট্রেস ইনজুরি বলতে বোঝ তা সবই আমার হয়েছিল’। ঐ সেমিস্টার পরে মার্ক এবং অরিন বুঝতে পারলেন যে, তাদের তৈরি করা প্রোডাক্টটি আসলে পারফেক্ট ছিল না। তারপর তারা আবার নতুন করে ডিজাইন করা শুরু করলেন। এর ফলাফল হলো এয়ার মাউস।
এই ওয়্যারলেস মাউসটাতে অপটিক্যাল লেসার ব্যবহার করা হয়েছে। এটি রিচার্জ করা ছাড়া প্রায় এক সপ্তাহ ব্যবহার করা যাবে। কোম্পানি ওয়েবসাইট অনুসারে এটি হাত এবং কব্জিতে আপনা থেকেই সঠিক জায়গাতে বসে যাবে। এর কারণে ব্যবহারকারীর হাত নিউট্রল পজিশনে থাকবে এবং কোনো জোর প্রয়োগ করা লাগবে না বললেই চলে। শুধু তাই নয় এটি হাতের জন্য যেমন সহজ হবে তেমনি মাউসের স্পিড এবং অ্যাকিউরেসি ও বেড়ে যাবে। মাউসটি এমনভাবে ডিজাইন করা যে যতক্ষণ না হাত কোন নিউট্রাল, ফ্ল্যাট পজিশনে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এটি ইনঅ্যাক্টিভ থাকে। ফলে এটি পরে একই সাথে টাইপিং এবং মাউসিং দুটোই করা যাবে। মাউসটি খুব দ্রুত বাজারে আসছে।
»» read more

৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের আইফোন!

ব্রিটিশ জুয়েলার Stuart Hughes যিনি সাধারনত বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রযুক্তি পন্যের দামী ভার্শন তৈরি করে থাকেন, এবার তৈরি করলেন একটি আইফোন ৪ যার দাম প্রায় ৮ মিলিয়ন ডলার! এই আইফোন এর পাতলা ফ্রেমে যুক্ত রয়েছে প্রায় ৫০০টি হীরা যা ১০০ ক্যারেটের বেশি। এর পেছন দিকেও রয়েছে ৫৩টি হীরা। এর মূল নেভিগেশন বাটনটি প্লাটিনামের তৈরি এবং এতে যুক্ত রয়েছে ৭.৪ ক্যারেটের একটি গোলাপী হিরা।


এর আগে তিনি তৈরি করেছিলেন হিরা এবং স্বর্ন দিয়ে বাধাঁই করা একটি ম্যাকবুক এয়ার যার মূল্য প্রায় ৩,৫৩,০০০ ডলার। এগুলো ছাড়াও ব্যাকবেরী, আইপ্যাড, নকিয়া ইত্যাদি পন্যের হীরে এবং স্বর্ন খচিত রুপ তৈরি করেছিলেন।
৮ মিলিয়ন ডলারের এই আইফোন তৈরি হবে মাত্র ২টি। আর একটি যদি আপনি কিনতে পারেন, তাহলে আপনার প্রতিদ্বন্দী থাকবে মাত্র একজন  আর কোন পার্টিতে মূল আলোচনার বিষয় থাকবেন আপনি, কারন একই ধরনের আরেকটি ফোন নিয়ে পার্টিতে অন্য কেউ থাকার আশংকা একেবারেই নেই।
»» read more

বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১০

উইন্ডোজ এক্সপিতে ডাবল ক্লিকে ড্রাইভ না খুলার সমাধান

উইন্ডোজের অনেক সমস্যার মধ্যে একটি হলো, ডাবল ক্লিক এ ড্রাইভ না খুলা। যখন আপনি ড্রাইভ এ ডাবল ক্লিক করেন, তখন এটি না খুলে একটি এক্সপ্লোরার ওপেন হয়। এটা সাধারনত autorun.inf ভাইরাস এর কারনে হয়ে থাকে। তবে এটি নিয়ে চিন্তার তেমন কোন কারন নেই। এন্টিভাইরাস ছাড়াই এটা খুবই সহজে সমাধান সম্ভব।

এর জন্য নিচের ধাপ গুলো অনুসরন করুন;
আপনার C: ড্রাইভ টিকে পরিস্কার করার জন্য;
১। স্টার্ট > রান এ গিয়ে, টাইপ করুন, cmd এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
২। টাইপ করুন, cd\ এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৩। টাইপ করুন, attrib –r –h –s autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৪। টাইপ করুন, del autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
এবার আপনার D: ড্রাইভ টিকে পরিস্কার করার জন্য;
১। স্টার্ট > রান এ গিয়ে, টাইপ করুন, cmd এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
২। টাইপ করুন, cd\ এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৩। টাইপ করুন, D: এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৪। টাইপ করুন, attrib –r –h –s autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
৫। টাইপ করুন, del autorun.inf এবং Enter বাটন এ প্রেস করুন।
আপনার প্রতি টি ড্রাইভ কে পরিস্কার করার জন্য উপরের ধাপ গুলো কে পর্যায় ক্রমে অনুসরন করতে হবে। আপনার কম্পিউটারে  যদি ৪ টি ড্রাইভ থাকে, আপনাকে তবে ৪ বার ধাপ গুলো অনুসরন করে আপনার ৪ টি ড্রাইভ কে পরিস্কার করে নিতে হবে। আপনার কাজ কিন্তু এখনো শেষ হয়নি, আপনার সব ড্রাইভ এ উপরে বর্নিত ধাপ অনুসারে পরিস্কার করার পরে আপনার কম্পিউটার টিকে একবার রি-স্টার্ট করে দেখুন, আপনার সমস্য সমাধান হয়ে গেছে।
পোস্ট টি কেমন লাগলো জানাতে দয়া করে ভুলবেন না।
»» read more

দীর্ঘ পথ পাড়ি দিল এন্ড্রয়েডে চলা গুগলের সয়ংক্রিয় গাড়ী

এন্ড্রয়েডে চলা ফোনের কথাতো অনেক শুনলেন। এবার এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে গাড়ী চলবে  কোন চালক ছাড়াই। গুগল ইতোমধ্যে কিছু অটোমেটিক গাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন রাস্তায়। ছোট একটি দূর্ঘটনা ছাড়া গুগলের এই সয়ংক্রিয় গাড়ীগুলো সফলভাবে অতিক্রম করেছে ১,৪০,০০০ মাইল! আর এই সফলতা ভবিষ্যতে গাড়ীর ড্রাইভারদের চাকরি হারানোর দিকেই ইংগিত দিচ্ছে
ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি থেকে সান্তা মনিকা পর্যন্ত দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দেয়ার সময় গাড়ীগুলোতে যদিও মানুষ ছিল, তবে তা শুধুই সতর্কতার জন্য। একজন মানুষ বসে ছিলেন ড্রাইভিং সিটে যাতে করে মূহুর্তের মধ্যে গাড়ীটিকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারেন। আর অপরজন ছিলেন প্যাসেঞ্জার সিটে যিনি সফটওয়্যারের কার্যকলাপ পরীক্ষা করছিলেন। তবে গাড়ী নিয়ন্ত্রনের জন্য তাদের কিছুই করতে হয়নি।
গুগলের এই গাড়ীগুলোতে ব্যবহার করা হয় ক্যামেরা, রাডার সেন্সিং, লেজার এবং অত্যাধুনিক সফটওয়্যার। গাড়িগুলোর ছাদে একটি ঘূর্ণায়মান সেন্সর থাকে যা গাড়ির চারপাশের এলাকা স্ক্যান করে মানচিত্র তৈরী করতে সক্ষম। এছাড়াও পথচারী ও অন্যান্য গাড়ী বা ট্রাফিক সিগনাল সনাক্ত করতে গাড়ীগুলোর বিভিন্ন স্থানে লাগানো থাকে ক্যামেরা। গাড়ীতে সংযুক্ত রাডার এবং জিপিএস এর সাহায্যে এটি পথ চিনে চলতে সমর্থ হয়।
তবে এই গাড়ীগুলোর সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো নিরাপত্তা। গুগল বলছে এই অটোমেটিক গাড়ীগুলো মানুষের চাইতে বেশি নিরাপদভাবে পথ চলতে পারবে। এর কম্পিউটার সিস্টেম সিদ্ধান্ত নিতে পারবে খুব দ্রুত যা হয়তো অনেক বড় দূর্ঘটনা থেকে গাড়ী এবং যাত্রীদের রক্ষা করতে পারবে। এছাড়াও বিভিন্ন পাওয়ার কন্ট্রোল এর মাধ্যমে জ্বালানী খরচও কমিয়ে আনা যাবে এই গাড়ী দ্বারা।
এই গাড়ীগুলো শীঘ্রই বাজারে আনার কোন পরিকল্পনা নেই গুগলের। নিরাপত্তা ছাড়াও বিভিন্ন আইনি ব্যাপার রয়েছে এতে। যদি একটি গাড়ী দূর্ঘটনায় পতিত হয়, তবে এর জন্য কে দ্বায়ী হবে? এর জন্য কি সফটওয়্যার দ্বায়ী হবে এবং তারা ক্ষতিপূরন দিবে? এই সকল ব্যাপারগুলোর সমাধান করে সিদ্ধান্তে পৌছুতে মোটামুটি সময় লাগবে। আর তাই খুব তাড়াতাড়ী এই গাড়ীগুলোকে রাস্তায় দেখা যাবে না। তবে প্রযুক্তিটির সফল বাস্তবায়ন একটি নতুন বিপ্লবের সূচনা করতে পারে।
»» read more

সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০১০

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এখনোও সেরা?

কমপিউটার এবং সেইসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাসে নতুন যুগের আগমনী বার্তা পাওয়া গিয়েছিলো ৩/৪ বছর আগেই। এমনিতে তো প্রতিদিনই বিশ্বের কোনায় কোনায় কেউ না কেউ প্রথমবার কমপিউটার কিনছেন এবং নতুন ইউজার আসা চলছেই। আমি সেকথা বলছিনা। কয়েক বছর আগে যেমন ১৭/১৮ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা প্রথম কমপিউটার ব্যবহার শুরু করতো, এখন সেটাই ১২/১৩ বয়সে শুরু হচ্ছে। আমি পিচ্চিদের গেম খেলার কথা বলছিনা। এখন ১২/১৩ বছর বয়সের একজন ইউজার ফটোশপ টিউটোরিয়াল লেখে। নয়তো ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে লেখে। ১ বছর হাতে কমপিউটার পেয়েই হাতে প্রথম আয়ের চেক আসছে অনেকের। আমি এইটা বলছি। আমার কাছে এমন অনেক ইমেইল এসেছে যাদের ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খোলারই বয়স হয়নি, তাদের গুগল এ্যাডসেন্স চেক আনাতে হচ্ছে বাসার কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের নামে, তারই এ্যাকাউন্টে জমা দিতে হচ্ছে চেক।
যে সময়ে আমরা হয়তো স্কুলের পড়া নিয়েই মাথা খারাপ করে ফেলতাম, প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষা কী কী দেবো সেইসবের আলাপ হতো বন্ধুদের মধ্যে, সেই বয়সে এখন ছেলেমেয়েরা হাতে প্রথম আয়ের চেক পাচ্ছে। এটা কিন্তু খারাপ কিছু বলছিনা আমি, ভালোই বলছি! তবে এইটা ক্ষণস্থায়ী ভালো। যাই হোক, এইটা আমার আলোচনার বিষয় না আজকে।

আমি বলতে নিয়েছিলাম অন্য কথা। আজকের প্রজন্ম কোন অপারেটিং সিস্টেম বেশী পছন্দ করে? এই নিয়ে অনেকের অনেক রায় থাকতে পারে। আমি আমার ব্লগের কিছুটা পরিসংখ্যান তুলে ধরছি আপনাদের সামনে।

সেপ্টেম্বর মাসে এই ব্লগে পেজভিউ ছিলো 27,442 এবং তার মধ্যে 24,662 পেজভিউ হয়েছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে। অর্থাৎ ৯৫% পেজভিউ উইন্ডোজ দিয়েই হয়েছে। 907'টি পেজভিউ হয়েছে ইউনিক্স সিস্টেমে। ৩%। Macintosh পেজভিউ 114'টি। এর পরে দীর্ঘ তালিকা মোবাইল ডিভাইসের। সবশেষে গিয়ে নাম লিনাক্স। পেজভিউ মাত্র 4'টি।

নাহ, আমি এই পরিসংখ্যান থেকে কোনো উপসংহার টানছিনা। আমার এই পোস্টের শিরোনাম 'উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এখনোও সেরা' আসলে ব্লগস্পটেরই স্টাটিস্টিক্স সিস্টেমের বক্তব্য।

অন্যদিকে যদি চোখ রাখা যায়, বিশ্বের নামীদামী সব কমপিউটার প্রস্তুতকারকরা সবাই উইন্ডোজ সিরিজের অপারেটিং সিস্টেম দিয়েই তাদের কমপিউটার অফার করছে। যেকোনো ওয়েবসাইটে ভিজিট করে মডেলগুলি দেখলেই জানা যাবে যে উইন্ডোজ ছাড়া অন্য অপারেটিং সিস্টেম চাইলে তার জন্য আলাদা লিংক দিচ্ছে এবং কাস্টম প্যাকেজের মধ্যে আওতাভুক্ত করা আছে। এখানেও পরিষ্কারভাবেই দেখা যাচ্ছে যে উইন্ডোজের জনপ্রিয়তা অফিসিয়ালি কমেনি।

আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, অন্যান্য কিছু অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে যে মাতামাতি করেন কিছু ইউজাররা, সেই মাতামাতি কেন বিশ্বের এইসব নামীদামী সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে এখনোও দেখা যাচ্ছেনা? এইসব ইঞ্জিনিয়াররা কি অশিক্ষিত? নাকি তারা রিসার্চ করেননা? নাকি এইসব নতুন অপারেটিং সিস্টেমকে তারা মানেননা? আপনাদের কী মনে হয়? উইন্ডোজ ফ্যামিলির মধ্যে Windows XP কেন সেরা অপারেটিং সিস্টেম হয়ে আছে এতোবছর ধরে? আজকের নতুন প্রজন্ম কি আগামী দিনে নতুন অপারেটিং সিস্টেমগুলিকে জনপ্রিয়তার শিখরে তুলে ধরতে পারবে?
»» read more

মুঠোফোনের বিড়ম্বনা


যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, আদিযুগ থেকেই প্রচলিত নানা মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের নানা গল্প আমরা শুনেছি, পড়েছি। আমরা দেখেছি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যোগাযোগের নতুন নতুন মাধ্যম। যে যুগে যেমন ছিল, সেটাই তখনকার মানুষের জন্য চমক সৃষ্টি করতো। চমক এই যুগেও আসে। মানুষ ভীড় করে লাইন দিয়ে নতুন নতুন অত্যাধুনিক গ্যাজেট কেনেন।
যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, আদিযুগ থেকেই প্রচলিত নানা মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের নানা গল্প আমরা শুনেছি, পড়েছি। আমরা দেখেছি যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যোগাযোগের নতুন নতুন মাধ্যম। যে যুগে যেমন ছিল, সেটাই তখনকার মানুষের জন্য চমক সৃষ্টি করতো। চমক এই যুগেও আসে। মানুষ ভীড় করে লাইন দিয়ে নতুন নতুন অত্যাধুনিক গ্যাজেট কেনেন।
ছোটবেলায় আমি টেলিফোনে কথা বলতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত বোধ করেছিলাম। একটি যন্ত্র আমার আত্মীয়ের কন্ঠস্বর পৌছে দিয়েছিলো আমার কাছে। আরো উত্তেজনা হয়েছিল যখন ফ্যাক্স করেছিলাম প্রথমবার। হাতের লেখায় এক পাতার খোলা চিঠি, যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে পৌছে গেলো আমার সেই আত্মীয়ের কাছে। তিনিও উত্তর পাঠালেন, তার হাতের লেখায়, এসে গেল আমার যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে। কেমনই যেন অনুভূতি। কারন পোস্টম্যান নিয়ে আসছেনা এই চিঠি। কয়েকদিন সময় লেগে যাচ্ছেনা এই চিঠি আসতে।


যখন ইমেইল এলো তখন অবাক হলাম। যখন মোবাইল ফোন দেখলাম, তখনও অবাক হলাম। এর পরে একে একে আইপড আইফোন আইপ্যাড সবকিছুই এসেছে। আরো কিছু আসবে। তার আগে -

মজার কথা শেয়ার করার জন্য এই পোস্ট শুরু করেছিলাম, সেইটা বলি। মোবাইল ফোন এখন প্রায় সবার হাতে হাতে। বাসার কাজের লোক, রাস্তার সুইপার - প্রায় সকলের কাছেই আছে রকমারি মোবাইলের বাহার। সবাই তার নিজের নিজের মতো ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ অত্যধিক ব্যবহার করেন, কেউ কেউ খুবই কম ব্যবহার করেন। আমি যখানে থাকি, সেই এলাকায় একটি অল্প বয়সী ছেলে, কিছুদিন আগেই গ্র্যাজুয়েট হয়েছে, চাকরী পেয়েছে, তার মোবাইল ব্যবহার দেখছি বেশ অনেকদিন ধরে।

আমি দেখছি বললে ভুল হবে। এলাকার সবাই দেখছে। দেখতে না চাইলেও দেখতে হচ্ছে। রোজ ছেলেটি অফিস থেকে ফেরে, কিন্তু সে এলাকায় ফিরে এসেও বাড়িতে ঢোকেনা। সে গোটা এলাকা ঘুরে বেড়ায় মোবাইল ফোন নিয়ে। নির্দিষ্ট একটি পথ দিয়ে সে যায় আর আসে। মোবাইলে কথা হয়েই চলেছে। কেন যায় আর আসে? কারন সে একটি সিগারেট নিয়ে হাঁটা শুরু করে, বেশিদুর যেতে পারেনা, সিগারেট শেষ হয়ে গেলেই ফিরে আসে একই পথ ধরে, আবার দোকান থেকে কেনে, আবার সেই নতুন সিগারেট ধরিয়ে আবার হাঁটা দেয়। এইভাবে সে দুই/তিন ঘন্টা ধরে পথে হাঁটাহাঁটি করে, ফোনে কথা বলে আর কতো যে সিগারেট কেনে আর ধোঁয়ায় উড়িয়ে দেয় তার সংখ্যা আমার জানা নেই।

কিন্তু এলাকার সিগারেট বিক্রেতা রেগে গেছে। একদিন আমি যখন অন্যান্য টুকিটাকি জিনিস কিনতে গেছি, তখন আমাকে নালিশ জানাচ্ছে দোকানদার। তার নালিশ যে কেন এই ছেলে গোটা এক প্যাকেট একবারে কেনেনা। বার বার ফিরে এসে একটা একটা করে কেনে। বিরক্ত হয়ে গেছে দোকানী। আমি হেসেই ফেলেছি, কী আর করবো!

দোকানে এসেছেন বয়স্কা আরেকজন মহিলা, তিনি বললেন এইটা হলো আজকের যুগের "মুঠোফোনের বিড়ম্বনা"। এই যন্ত্রটি এই ছেলের সুবিধা করতে পারেনি, অসুবিধাই করেছে, তার কষ্ট আরো বাড়িয়ে তুলেছে, এই ফোন বাসায় থাকলে সে নাহয় শুয়ে বসে বাসা থেকেই কথা চালিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সে এখন অফিস থেকে বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নিতে পারেনা। পথেই হাঁটতে থাকে। সম্ভবত দুই ঘন্টায় দুই প্যাকেট সিগারেট রোজ লাগে তার (বাকি সারাদিনে কতো জানিনা!) বিড়ম্বনা শুধু তারই হয়নি, সেইসাথে হয়েছে দোকানদারেরও। ৫/৭ মিনিট পরে পরে কেউ যদি বারংবার এসে একটা করে সিগারেট কিনতে চায় তবে দোকানদার তার মুনাফার ভাবনা শিকেয় তুলে দিয়ে উলটে ক্ষুব্ধই হয়ে উঠেছেন। কারন, এই দুই/তিন ঘন্টা ধরে দোকান সর্বদা ফাঁকা থাকেনা, অন্য কাস্টমারের মাঝেই সে এসে তাড়া দিতে থাকে, তাকে আগে সিগারেট দিতে হবে! একদিকে তার নেশা, অন্যদিকে কানে ফোন সেখানে অফিসের তরুনী ফোনে অপেক্ষা করছে! দোকানী ক্ষেপে অস্থির।

যাক গে, আপনারা যারা মুঠোফোনের অধিকারী এবং একইসঙ্গে ধূমপায়ী, তারা আমার উপরে দয়া করে ক্ষিপ্ত হবেননা, আমি কেবলই একটি উদাহরণ শেয়ার করলাম। সবাই সমান নয়। অনেকেই অনেক উপযোগী ব্যবহার করেন তাদের মোবাইল ফোনের।
»» read more

শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০১০

দিনটি ডিজিটাল

আগামী পরশু বিশেষ এক দিন । এক কথাতেই পাঠকেরা বোঝে যাবেন দিন টি কেন বিশেষ। পরশু হচ্ছে ২০১০ সালের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ। ১ আর ০ এর
চমকে ভরা দিন টি নিয়ে বিশ্বব্যাপী নানা আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে । থেমে নেই ভাচুয়াল দুনিয়াও‌। বিশেষ এই দিন টি আসবে আবার শত বছর পরে।আর তাই উদযাপনের প্রস্ততি চলছে নানাভাবে। বাইনারি হিসেবে সংখ্যাটি হচ্ছে ৪২।আর তাই ১০ এর পাশাপাশি ৪২ নিয়ে ও রয়েছে নানা আয়োজন। দিনটিকে নানভাবে আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিশ্বের নানা সংগঠন। এ দিনটিকে সামনে রেখে তৈরি করা ফোরটিটুডে( www.fortytwoday.com )নামের ওয়েবসাইট রয়েছে বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন আয়োজনের তথ্য। এই দিনটিতে ৪২ টি বাস নিয়ে বিভিন্ন শহরের অনেকেই বিভিন্ন কার্যক্রমও চালাবেন। ৪২ নামে সামজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুক, মাইক্রো ব্লজ্ঞিং সাইট টুইটার ,ফটো রাখার ওয়েবসাইট ফ্লিকারে খলা হয়েছে বিশেষ পাতা। ওয়েবসাইটটির শেষে রয়েছে নির্দিষ্ট দিনটির অপেক্ষায় থাকা সময় গননা। রয়েছে ওয়েবসাইট তইরিতে আগ্রহী ব্যাক্তিদের জন্য দারুন সব ডোমেইন নাম আর বিশেষ ব্যাজ। বেশ কয়েক্তি ওয়েবসাইটের সৌজন্যে  চলবে জলবায়ু সচেতনতা নিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পরিচালনা। বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মতে তৈরি থ্রিফিফটি (www.350.org) নামের ওয়েবসাইটেও  রয়েছে নানা আয়োজনের তথ্য। এ সাইটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগ্রহীরা দিনটিতে কি কি করবেন এবং কোথায় করবেন সে ব্যাপারে সাইটে নিবন্ধনের সুযোগ দিয়েছে। দিনটিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কার্যক্রমের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। ওয়েবসাইট টির আহবানে জলবায়ু-ন্যায়বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ ১০ তরুন এ দিনে সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে কেওকারাদং এ পতাকা ওড়াবে। ১০১০ গ্লোবাল (www.1010global.org) সাইটে রয়েছে বিশেষ স্লোগান। এতে বলা হয়েছে সাধারন একজন ব্যাক্তি নিজে বিদ্যালয়ে, ব্যাবসাপ্রতিস্থানে বছরে ইচ্ছে করলেই ১০ শতাংশ কারবন ব্যাবহার কমাতে পারেন। সাইটে এ সংখ্যাটিকে ১০:১০ বলে দেখানো আছে। এবার তাই বিভিন্ন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে সাইটটির পক্ষ থেকে ।ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট মেটাটিউব  (www.metatube.com) ওয়েবসাইটে এ দিনকে নিয়ে জোতিষশাস্র এবং ভবিস্যৎ নিয়ে রয়েছে বিশেষ ভিডিও। জনপ্রিয় মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম উবনটুর সর্বশেষ সংস্করন উবুন্টুর ১০:১০ বের হবে এ দিনে। ম্যাভেরিক মিরক্যাট নামের এ সংস্করনটির সংখ্যা আর বিশেষ বিশেষ দিনকে সামনে রেখে প্রকাশিত হচ্ছে । উবুন্টুর ওয়েবসাইটে (www.ubuntu.com)  এ নিয়ে রয়েছে বিশের ব্যানার আর নতুন সংস্করনটি নিয়ে সময় গননার বিশেষ ক্ষণগণ ব্যানার। ভিডিও দেখার ওয়েবসাইট ইউটিউবে (www.youtube.com)  রয়েছে এ  দিন কে নিয়ে নানা আয়োজনের কথা ও ভিদেও।এ ছাড়া ব্যাক্তিগত অবিভিন্ন ফোরামে ও  এ দিনটির নানা বিষয়  নিয়ে রয়েছে আলোচনা। এই দিন কে উপলক্ষ করে সারা বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশেও বিভিন্ন আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সফটওয়্যার খাতের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ  অ্যাসোসিয়েশন  অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি বিশেষ আয়োজন করছে। ভাচুয়াল দুনিয়ায় এ দিনটিতে বিভিন্ন ব্লগ ও ওয়েবসাইটে নানা ধরনের পোস্ট আর আলোচনা ও চলবে। সব মিলিয়ে বাস্তবতার পাশাপাশি এ দিনকে ঘিরে জমজমাট থাকবে ভাচুয়াল দুনিয়াও 
সুত্রঃ প্রথম আলো।
»» read more

বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০১০

উইন্ডোজ কম্পিউটারে পেনড্রাইভকে ব্যবহার করুন র‌্যাম হিসেবে

র‌্যানডম এক্সেস মেমোরি বা র‌্যাম পিসির হার্ডওয়্যারের একটি অপরিহার্য এবং খুবই গুরুত্বপূর্ন অংশ। র‌্যামের স্বল্পতার কারনে সাধারনত পিসি স্লো হয়ে যায়। আপনি ইচ্ছে করলে সহজেই আপনার পেনড্রাইভ অথবা যে কোন ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে র‌্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার পিসির সার্বিক কর্মক্ষমতা এবং গতি কিছুটা হলেও বাড়বে।

এখানে আমি দুটি পদ্ধতির কথা জানাবো। একটি উন্ডোজের যে কোন অপারেটিং সিস্টেম এ কাজ করবে এবং অপরটি শুধুমাত্র উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এ কাজ করবে।
এর আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে রাখা ভাল। মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কম্পিউটারের কাজের জন্য দুটি মেমোরি ব্যবহার করে:
১. Physical Memory (যা আমাদের কাছে র‌্যাম হিসেবে পরিচিত)
২. Page File (এটি একটি ভার্চুয়াল মেমোরি ফাইল, যা হার্ডডিস্ক এ স্টোর করা থাকে)
Physical Memory যখন সম্পুর্ণ হয়ে যায় তখন অতিরিক্ত মেমোরি হিসেবে Virtual Memory ব্যবহৃত হয়। উল্লেখ্য যে Physical Memory, Virtual Memory অপেক্ষা দ্রুত কাজ করে এবং Virtual Memory, Physical Memory অপেক্ষা কম গতি সম্পন্ন।
প্রথমেই সকল অপারেটিং সিস্টেম অর্থাত উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এর পদ্ধতিটি বলি। এখানে আমি খুব সহজেই ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে Page File হিসেবে ব্যবহার করার পদ্ধতিটি বলছিঃ
  • আপনার পেনড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভটিকে কম্পিউটারে কানেক্ট করুন। [ড্রাইভটি নুন্যতম ১ গিগাবাইটের হতে হবে। তবে ৪ গিগাবাইট হলে সবচেয়ে ভাল হয়]

  • My Computer আইকনে রাইট ক্লিক করুন এবং Properties এ যান। অথবা মাই কম্পিউটারে প্রবেশ করে যেকোন খালি জায়গায় রাইট বাটন ক্লিক করেও এটি করা যায়।

  • Advanced > Performance > Settings > Advanced > Change এ ক্লিক করুন।

  • এখানে ডিফল্ট হিসেবে সাধারনত No paging file সিলেক্ট করা থাকে।


  • এবার আপনার পেনড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভটি সিলেক্ট করে Custom Size এ ক্লিক করুন।
  • Initial size এবং Maximum size এ একই সংখ্যা লিখুন। আপনি যতটুকু জায়গা র‌্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে চান এখানে সেটাই লিখতে হবে।
  • উইন্ডোজের ৫ মেগাবাইট ফ্রি জায়গার প্রয়োজন হয়। তাই Initial size এবং Maximum size এ Available Space থেকে নুন্যতম ৫ মেগাবাইট কম লিখতে হবে। অর্থাৎ আপনার পেন ড্রাইভে যতটুকু জায়গা রয়েছে তার চাইতে ৫-১০ মেগাবাইট কম লিখুন।
  • এবার Apply, OK এবং OK দিয়ে কম্পিউটারটি Restart করুন।

উল্লেখ্য যে আপনি এই পদ্ধতিতে হার্ডডিস্কের ফ্রি স্পেসকেও Page File হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এটি কম গতিসম্পন্ন হওয়ায় কমপক্ষে ৮ গিগাবাইট মেমোরি ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।


এবার উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এর পদ্ধতিটি বলিঃ

উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন এ মাইক্রোসফট প্রযুক্তির বিশ্বে একটি নতুন প্রযুক্তির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়েছে। তা হল Ready Boost Technology. এটির সাহায্যে পেনড্রাইভ বা যে কোন ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে কম্পিউটারের তৃতীয় মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
Ready Boost অ্যাকটিভেট করতে হলে প্রথমে আপনার পেনড্রাইভ অথবা ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে কম্পিউটারে কানেক্ট করুন এবং নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন:

  • My Computer ওপেন করুন।
  • Removable Disk Drive টির Properties এ যান।
  • Ready Boost ট্যাবটিতে ক্লিক করুন।
  • আপনি যতটুকু জায়গা মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করতে চান তা সিলেক্ট করে Ready Boost Enable করুন।
এই বিষয়গুলো লক্ষ করুন:
  • আপনি Ready Boost ব্যবহার করুন আর নাই করুন, উইন্ডোজ ভিস্তা এবং উইন্ডোজ সেভেন আপনার কম্পিইটারে ব্যবহারের জন্য নুন্যতম ৫১২ মেগাবাইট র‌্যাম থাকা প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, ১ গিগাবাইট র‌্যাম থাকলে ভাল হয়।
  • আপনি যখন পেনড্রাইভ বা ফ্ল্যাশ ড্রাইভকে মেমোরি হিসেবে ব্যবহার করবেন, তখন আপনার সিলেক্ট করা জায়গাটুকু ফাইল স্টোরেজের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন না।
  • যদি আপনার ডিভাইসটিতে Ready Boost অ্যাকটিভেট করা না যায়, তাহলে আপনার ডিভাইসটিতে Ready Boost অ্যাকটিভেট করার জন্য নুন্যতম ডাটা ট্রান্সফার রেট (২ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ড) এর ঘাটতি রয়েছে। তাই আপনার ডিভাইসটি Ready Boost সাপোর্ট করেনা।
সাধারনত সনির এম ২ মেমোরি কার্ড যা সকল সনি এরিকসন মোবাইলৈ ব্যবহৃত হয় তা Ready Boost সাপোর্ট করেনা। কারন এম ২ কার্ডের ডাটা ট্রান্সফার রেট ২ মেগাবাইটের কম। তবে এখনকার বেশিরভাগ মেমোরি কার্ড, পেনড্রাইভ এবং ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ই Ready Boost সাপোর্ট করে।
উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে আপনি যে কোন উইন্ডোজ কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
»» read more

কাজে লাগার মত কয়েকটি উইন্ডোজ সেভেন টিপস

উইন্ডোজ ভিস্তা ফ্লপ করার পর অনেকটা তাড়াহুড়ো করেই উইন্ডোজ সেভেন বাজারে আনে মাইক্রোসফট। খুব একটা আলোড়ন সৃস্টি করতে না পারলেও, ভালোই এগিয়ে চলেছে উইন্ডোজ সেভেন। যদিও এক্সপি এখনোও সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত অপারেটিং সিসটেম। ভিস্তা বাজারে আসার পরও যারা এক্সপি ছাড়ার চিন্তা করেননি, তারা এখন আস্তে আস্তে উইন্ডোজ সেভেন এর দিকে ঝুঁকে পড়ছেন

অপ্রয়োজনীয় ফিচার বন্ধ করা
উইন্ডোজ সেভেন এ এমন অনেক ফিচার রয়েছে, যেগুলো হয়তো আপনার প্রয়োজন হয় না। এই সকল অপ্রয়োজনীয় ফিচার ইচ্ছা করলে আপনি বন্ধ করে রাখতে পারবেন। প্রথমে Start মেনু থেকে Control Panel এ ক্লিক করুন। এরপর প্রোগ্রামস এ ক্লিক করলে নিচের মত একটি ছবি দেখতে পাবেন।
সেখানে ‘Turn Windows features on or off’ এ ক্লিক করুন। এরপর যে প্রোগ্রামগুলো আপনার প্রয়োজন
নেই



সেগুলো থেকে টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Ok করুন। এরপর কিছুক্ষন সময় লাগবে কাজটি সম্পাদন করতে। পরবর্তীতে আবার টিক চিহ্ন দিয়ে সেই প্রোগ্রামটি ফিরিয়ে আনতে পারবেন।


টাস্কবারকে সংকীর্ন করুন
উইন্ডোজ ৭ এর প্রশস্থ টাস্কবারটি বরাবরই আমার বিরক্ত লাগে।যারা ১০২৪*৭৬০ পিক্সেল এর মনিটর ব্যবহার করেন, টাস্কবার এর কারনে তাদের স্ক্রীনটি ছোট হয়ে যায়। এবার দেখা যাক এই মোটা টাস্কবারটিকে ধোলাই দিয়ে কিছুটা চিকন করা যায় কিনা!
টাস্কবারে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে Properties এ ক্লিক করুন। এরপর টাস্কবার ট্যাবের অধিনে থাকা

Use Small Icon এর পাশের বক্সে টিক দিন। এরপর OK বাটনে ক্লিক করুন। that’s it  ঝামেলা বিদায়

রান কমান্ড ফিরিয়ে আনুন
ভিস্তার মত উইন্ডোজ সেভেনেও ডিফল্টভাবে রান কমান্ডটি লুকানো থাকে। এক্সপি ব্যবহারকারীরা সাধারনত স্টার্ট মেনু থেকে রান কমান্ড ব্যবহার করে অভ্যস্ত। রান কমান্ড ফিরিয়ে আনার জন্য নিচের পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
আবারও টাস্কবারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজ এ ক্লিক করুন। এরপর Start Menu ট্যাব এ ক্লিক করে Customize  এ ক্লিক করুন। স্ক্রল করে নিচে নামুন।


এরপর Run Command এর পাশে থাকা চেকবক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে OK করুন। এখন থেকে স্টার্ট মেনুতে রান কমান্ড দেখা যাবে।

»» read more

ডেস্কটপ আইকনের ব্যাকগ্রাউন্ড কালার পরিবর্তন হয়ে গেলে যা করবেন

উইন্ডোজ অপারেটিং সিসটেম এর একশো-একটা সমস্যার মধ্যে এটি একটি সাধারন সমস্যা। অনেক সময় দেখা যায় যে, আমাদের ডেক্সটপ এর আইকন গুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড কালার পরিবর্তন হয়ে গেছে। এটা দেখতে খুবই বাজে লাগে। তবে আপনি সহজেই এই সমস্যা থেকে মুক্ত হয়ে, আইকনগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারেন। আজকে এমন সমস্য থেকে কিভাবে উদ্ধার পাওয়া যায়, তাই আপনাদের দেখাবো।


প্রথমে, আপনার ডেক্সটপ এ গিয়ে, মাউস এর ডান বাটন টি চাপুন, এবং প্রপারটিস এ যান

এবার, ডেক্সটপ ট্যাব টিতে যান। এবং কাস্টমাইয ডেক্সটপ বাটন টি চাপুন
দেখতে পাচ্ছেন, নতুন একটি উইন্ডো ওপেন হয়েছে। এতে দুটো ট্যাব আছে। জ়েনারেল এবং ওয়েব। ওয়েব ট্যাব টি তে চাপুন।



এবার, ওয়েব পেইজ লিখা বক্স এর ভিতরে যতগুলো চেক বক্স আছে, সমস্ত চেক বক্স গুলো কে আন-চেক করে দিন (টিক তুলে দিন)


এখন, ওকে বাটন এ চাপুন, এবং পরবর্তি উইন্ডো তে ফিরে অ্যাপ্লাই বাটন এ চাপুন এবং ওকে করে বেরহয়ে আসুন।
এবার দেখুন, আপনার ডেক্সটপ এর আইকন গুলো আবার পুর্বের মত হয়ে গেছে।




পোস্ট টি কেমন লাগলো জানাতে দয়া করে ভুলবেন না

»» read more

পৃথিবী বদলে দিতে চাওয়া একজন বাঙ্গালী, সালমান খান

চাইলেই কি পৃথিবী বদলে দেয়া যায়? অধিকাংশেরই উত্তর হবে হয়ত বদলানো যায়, তবে এরজন্য প্রয়োজন বিশ্বব্যাপি বদলে দেয়ার ঐক্য এবং সবার প্রচেষ্টা। একজনের একার পক্ষে পৃথিবী বদলানো কোনভাবেই সম্ভব নয়। তবে একজন কিন্তু পৃথিবীকে ঠিক ই বদলে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। পুরো পৃথিবীটাকে বদলাতে না পারলেও অন্তত শিক্ষা ব্যবস্থাকে বদলানোর ‘আইডিয়া’ করেছেন তিনি। বদলে দেয়ার জন্য তিনি যে পরিকল্পনা করেছেন সে পরিকল্পনার যথাযথ স্বীকৃতিও পেয়েছেন এবার।


এতক্ষন ধরে যে পরিকল্পনাকারীর গল্প করছি তাঁর নাম সালমান খান। সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের কাছ থেকে তিনি সম্মাননা জিতেছেন ‘ওয়ার্ল্ড চেঞ্জিং আইডিয়া’র পরিকল্পনাকারী হিসাবে। মোট পাঁচটি আইডিয়াকে এ পুরষ্কার দিয়েছে গুগল। তারই একটি হলো সালমান খানের অনলাইন শিক্ষা বিষয়ক ভিডিও টিউটোরিয়াল। ‘খান একাডেমি’ নামক অনলাইন ভিডিও টিউটোরিয়াল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সালমান খান একজন বাঙ্গালী।

প্রজেক্ট টেন টু দ্যা হানড্রেড
মানুষ শখের বসে বা প্রয়োজনের তাগিদেই বিভিন্ন পরিকল্পনা করে, ‘আইডিয়া’ প্রকাশ করে। প্রতিটা মুহুর্তেই মানুষ হয়ত একেকটি পরিকল্পনা করছে, সেগুলোকে বাস্তব রুপ দিতে চেষ্টা করছে। এমনই পরিকল্পনা বা ‘আইডিয়া’র মধ্য থেকে এমনও হয়ত ধারণা বা পরিকল্পনা রয়েছে যেগুলো গোটা পৃথিবীকেই পরিবর্তন করে দিতে পারে। এরকম পরিকল্পনাগুলোকে জনসম্মুখে তুলে আনার জন্য ‘প্রজেক্ট টেন টু দ্যা হানড্রেড’ নামে ১০ মিলিয়ন ডলার পুরষ্কার ঘোষনা করেছিল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল। প্রতিষ্ঠানটির দশম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ ঘোষনা দেয়া হয়েছিল। এরপর ১৭০ টিরও বেশি দেশ থেকে পৃথিবী বদলে দিতে পারে এমন দাবি নিয়ে ১ লাখ ৫৪ হাজার অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়ে। দীর্ঘ যাচাই বাছাই শেষে এই বিপুল সংখ্যক ‘আইডিয়া’ থেকে চূড়ান্তভাবে ১৬ টি পরিকল্পনা নির্বাচন এবং তার তালিকা প্রকাশ করে গুগল। এরপর চূড়ান্তভাবে এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে মাত্র পাঁচটি প্রকল্পকে চূড়ান্ত বিজয়ী ‘আইডিয়া’ হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে এবং নির্বাচিত ‘আইডিয়া’ কে আরোও বিস্তৃত করার জন্য প্রত্যেক প্রকল্পকে ২০ লাখ (+-) ডলার করে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। একই সাথে প্রকল্পগুলোর পরিকল্পনাকারীদের সম্মাননা দেয়া হলো পৃথিবী বদলে দেয়ার মতো ‘আইডিয়া’র ‘গুরু’ হিসাবে। শিক্ষা, রাষ্ট্র পরিচালনা, বিজ্ঞান এবং পরিবহন ব্যবস্থা সহ পাঁচটি বিভাগে সেরা পাঁচ প্রকল্পকে এ পুরষ্কার দিয়েছে গুগল।

এক নজরে গুগলের এ প্রকল্পের বিস্তারিত জানতে দেখে নিন গুগলের নিজস্ব ভিডিও টিউটোরিয়াল:

Click This link: http://www.youtube.com/watch?v=58mNnPeeTGs&feature=player_embedded

সেরা পাঁচ ‘আইডিয়া’
সেরা পাঁচ আইডিয়া’র মধ্যে শিক্ষা বিভাগে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে সালমান খানের খান একাডেমির বিনা মূল্যে শিক্ষামূলক অনলাইন ভিডিও টিউটোরিয়াল। এ প্রকল্পটিকে আরোও এগিয়ে নিতে খান একাডেমিকে ২০ লাখ ডলার পুরষ্কার দিয়েঁছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান এবং গণিত দল প্রতিযোগিতা দলকে ‘রিয়েল ওয়ার্ল্ড ওয়ার্কিং এক্সপেরিয়েন্স’ ধারণা দেয়ার জন্য ৩০ লাখ ডলার দেয়া হয়েছে। সরকারের সব কাজকে একেবারেই সচ্ছ করার জন্য পবলক রিসোস নামক ধারণাকেও দেয়া হয়েছে ২০ লাখ ডলার পুরষ্কার। গাড়ি চালানোতে নতুন প্রযুক্তির ‘আইডিয়া’ দেয়ার জন্য শোয়েবো প্রকল্পকে দেয়া হয়েছে ১০ লাখ ডলার পুরষ্কার। আর আফ্রিকান শিক্ষার্থীদের গণিত এবং বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়ার জন্য নতুন ধরনের আইডিয়া দেয়ার জন্য ২০ লাখ ডলার পুরষ্কার পেয়েছে এইমস নামক একটি প্রকল্প।


একজন সালমান খান
সালমান জন্মগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ানার নিউ অর্লিন্স শহরে। তার বাবা ছিলেন বাংলাদেশী, তাঁর বাড়ি ছিল বরিশালে। যুক্তরাষ্ট্রেই বাবা মায়ের সঙ্গে বেড়ে ওঠেন সালমান। লেখাপড়া করেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব আইটি-তে। ম্যাথমেটিকস এবং ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার বিজ্ঞানে আলাদা করে বিএস পাস করেন। এরপর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএস পাস করেন। এত্ত এত্ত লেখাপড়া করার পরও থেমে থাকেননি এ মেধাবী। আবার হার্বার্ড বিজনেস স্কুল থেকে এমবিএ ও পাসও করেছেন তিনি। ২০০৬ সালে তার অনলাইন অংক শেখার টিউটোরিয়াল সাইট ‘খান একাডেমি’র যাত্রা শুরু হলেও তিনি এতে পরিপূর্ন সময় দিতে শুরু করেন ২০০৯ সালের শেষ দিক থেকে। এ পর্যন্ত খান একাডেমির ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখা হয়েছে আড়াই কোটি বারেরও বেশিবার! আর জনপ্রিয় এ ইউটিউব চ্যানেলটির সাবস্ক্রাইবার রয়েছে ৭৫ হাজারেরও বেশি! অনলাইন ভিডিও টিউটোরিয়াল সম্পকে খান অ্যাকাডেমির নিজস্ব টিউটোরিয়ালটি একনজর দেখে নিতে পারেন

Click This Link: http://www.youtube.com/watch?v=p6l8-1kHUsA&feature=player_embedded


২০০৪ সালের শেষের দিকে চাচাতো বোন নাদিয়াকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে দূর থেকেই ইয়াহু ডুডল নোটপ্যাডের মাধ্যমে অংক শেখাতে শুরু করেন সালমান খান। অল্প অল্প করে তাঁর এ উদ্যোগে ‘ফেল্টুশ’ চাচাতো বোনটি অংক পরীক্ষায় দারুন ফলাফল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলো। এ ঘটনার পর অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরাও তাদের সন্তানের অংক শেখানোর দায়িত্ব দিয়ে দিলেন সালমান খানের ওপর! হায়! এতগুলো মানুষকে অংক শেখানোর সময় তিনি কিভাবে পাবেন? বিষয়টিকে আরোও সহজ করার জন্য তিনি ভাবতে শুরু করলেন। ২০০৬ সালের ১৬ নভেম্বর তিনি কম্পিউটারের মাধ্যমে অংকের ওপর কয়েকটি ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করে সেগুলো ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে আপলোড করে দিলেন। তাঁর এ পরিকল্পনাটিকে তিনি আরোও বিস্তৃত করলেন, শুধু নিকটাত্মীয়রা নয়, পৃথিবীর সব শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা যাতে এ ভিডিও দেখে অংক শিখতে পারে তাঁর উদ্যোগ নিতে হবে তাকে। অফিসের কাজের ফাকে তিনি একা একা বিভিন্ন ‘লেসন’-এর ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করতেন। দিন দিন বাড়তে থাকলো তার ইউটিউব ভিডিওর জনপ্রিয়তা। প্রতিদিন হাজার হাজার ভিজিটর তার ভিডিও দেখতে শুরু করলো। তবে তাঁর কাজ নিয়ে নিজে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না সালমান খান। তাকে আরোও বেশি সময় দিতে হবে এ কাজে। ২০০৯ সালের শেষ দিকে ছেড়ে দিলেন চাকরি। এরপর দিনের সম্পূর্নটা সময়ই তিনি ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরির কাজে মন দিলেন। এসময়ে তার ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলো প্রতিদিন বিশ্বব্যাপি ৩৫ হাজারেরও বেশি দর্শক দেখতে লাগলেন। কিভাবে সালমান খান এ সাইটটি তৈরি করেছেন এবং কেনো তৈরি করেছেন, তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা সহ অনেক তথ্যই রয়েছে সালমান খান-এর ২০ মিনিটের একটি বক্তব্যে। এখানে প্রশ্ন উত্তর ভিত্তিক আলোচনাটি একনজরে দেখে নিন নিচের ভিডিও থেকে:




সালমান খান এমআইটি ক্লাবেও তাঁর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আলোচনাটি দেখে নিন নিচের ভিডিও থেকে




খান একাডেমির টিউটোরিয়ালগুলো
সালমানের তৈরি অনলাইন টিউটোরিয়াল প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ১ হাজার ৮০০-রও বেশি ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে। সাইটটিতে ভিডিও গেইমগুলোর মধ্যে রয়েছে বীজগণিত, পাটিগণিত, ব্যংকিং ও অর্থ, জীব বিদ্যা, ব্রেইন টিজার, ক্যালকুলাস, রসায়ন, ক্রেডিট ক্রাইসিস, অর্থনীতি, ডেভেলপমেন্ট ম্যাথ, ডিফারেন্সিয়াল ইকুয়েশন, ফিনান্স, গিথনার প্লান, জিওমেট্রি, ইতিহাস, লিনিয়ার অ্যালজেবরা, অরগানিক রসায়ন, পলসন বেলআউট, ফিজিকস, প্রি-অ্যালজেবরা, প্রি-ক্যালকুলাস, প্রোবালিটি, পরিসংখ্যান, ট্রিগনোমেট্রি, ভ্যালুয়েশন এবং ইনভেস্টিং, ভেনচার ক্যাপিটাল এবং শেয়ার বাজার সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সব ধরণের টিউটোরিয়াল পাওয়া যাবে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলো প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের শিার্থীদের ল্য করে তৈরি করা হয়েছিল, এজন্য সাইটটির সব ভিডিও টিউটোরিয়াল গুলো গুগলের ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে আপলোড করে রাখা। আর প্রতিষ্ঠানটির মূল সাইটে পাওয়া যাবে ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলোর ভিডিও লিংক। নিজের তৈরি টিউটোরিয়ালগুলো সম্পর্কে সালমান খান বলেন, যে উদ্যোগটি আমি গ্রহণ করেছি সেটি বিশ্বব্যাপি সব শ্রেনীর শিার্থীদের জন্য ছড়িয়ে দিতে চাই। আমি নিজে যতটুকু করেছি সেটি এ প্রকল্পের ছোট্র একটি দিক। আমার এ প্রকল্পের মাধ্যমে লাখো লাখো শিক্ষার্থী যেমন শিখতে পারবে তেমনি হাজার হাজার মানুষ এর সাথে সহজে যুক্তও হতে পারবে।
»» read more

রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১০

ভাইরাসের কারণে ফোল্ডার হিডেন হলে ফিরে পাওয়া

 ভাইরাসের কারণে অনেক সময় হার্ডডিক্সের বা ফ্লাশ ডিক্স (পেন ড্রাইভ) এর ফোল্ডার হিডেন হয়ে যায়। ফলে এই ফোল্ডারগুলো যেমন আনহাইড করা যায় না তেমনই সার্চ করলে ফলাফলও পাওয়ার যায় না।
ফোল্ডারগুলো খুঁজে পেতে Control Panel থেকে Folder Options খুলুন। এবার View ট্যাবে গিয়ে Show hidden files and folders এবং Hide protected operating system files আনচেক করুন। এবার উক্ত ফোল্ডারে সার্চ (Advanced Options থেকে Search hidden files and folders চেক করে) করুন তাহলে হিডেন হওয়া ফোল্ডারগুলো দেখা যাবে।
ভাইরাস জনিত কারনে ফোল্ডারগুলো হিডেন অপশন ডিজেবল হলে উক্ত ফোল্ডারগুলোর প্রোপাটিস থেকে হিডেন চেক বক্স আনচেক করা যাবে না ফলে ফোল্ডারগুলো স্বাভাবিকভাবে প্রদর্শিত হবে না। হিডেন অপশন সক্রিয় এবং আনচেক করতে পারবেন এট্রিবিউট চেঞ্জার সফটওয়্যার দ্বারা। ১.০৬ মেগাবাইটের ফ্রিওয়্যার এট্রিবিউট চেঞ্জার সফটওয়্যারটি http://www.petges.lu/ থেকে ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন। এখন যে ফোল্ডারের এট্রিবিউট পরিবর্তন করতে চান সেই ফোল্ডারের উপরে মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Change Attributes এ ক্লিক করুন এবং Folder Properties ট্যাব থেকে System, Hidden আনচেক Ok করে করুন।
ব্যাস এবার দেখুন ফোল্ডারগুলো স্বাভাবিকভাবে দেখা যাচ্ছে। এখন Folder Options এর View ট্যাবে গিয়ে Show hidden files and folders এবং Hide protected operating system files চেক করে আসুন।
»» read more

ইন্টারনেট থেকে ফ্রি এসএমএস পাঠান যত খুশি

ইন্টারনেট থেকে ফ্রি এসএমএস পাঠানোর বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে। এগুলোতে বিভিন্ন রকমের সীমাবদ্ধতাও আছে। তবে সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে যদি ইচ্ছামত ফ্রি এসএমএস করা যায় তাহলে কেমন হয়! এসএমএস ডট ভায়া নেট থেকে তেমনইভাবে একটু চালাকি করে ইচ্ছামত এসএমএস পাঠানো যায়।
প্রথমে http://sms.vianett.com/ সাইটে রেজিস্ট্রেশন করলে পরীক্ষামূলকভাবে ১০টি এসএমএস ফ্রি করা যায়। রেজিস্ট্রেশন করলে ইমেইলে পাসওয়ার্ড আসে, তা দিয়ে লগইন করে Send BulkSMS এ গিয়ে এসএমএস করা যাবে। প্রাপকের কাছে প্রেরক হিসাবে সরাসরি নিজের নাম পাঠানো যাবে Sender address এ নাম লিখে।
এভাবে একাধিক ইমেইল (এক মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা যাবে) ঠিকানা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ইচ্ছামত এসএমএস পাঠানো যাবে। কিন্তু একাধিক ইমেইল ঠিকানা খোলাতো ঝামেলার। তবে একটি জিমেইলের মাধ্যমে লক্ষাধিকবার রেজিস্ট্রেশন করা যাবে একটু চালাকি করে। সেই চালাকির পদ্ধতি হলো

জিমেইল এখন খুবই জনপ্রিয় ইমেইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। জিমেইলের নতুন নতুন সুবিধা গ্রহকদের বাধ্য করে জিমেইল ব্যবহার করতে। জিমেইলের একটি দারুন সুবিধা হচ্ছে একই ঠিকানাকে হাজারো ঠিকানা হিসাবে ব্যবহার করা।
আপনার জিমেইল ঠিকানা যদি mehdi.akram@gmail.com হয় তাহলে আপনি এই আইডির মধ্যে যেকোন যায়গাতে এক বা একাধিক ডট ব্যবহার করে মেইল পেতে পারবেন। যেমন m.e.h.d.i.a.k.r.a.m@gmail.com বা mehdi.a.k.r.a.m@gmail.com ইত্যাদি। এছাড়াও আপনি জিমেইল ডোমেইনের পরিবর্তে গুগল মেইল ব্যবহার করতে পরেন। যেমন, m.e.h.d.i.a.k.r.a.m@googlemail.com, mehdi.a.k.r.a.m@googlemail.com ইত্যাদি। আর যদি মূল আইডির পরে + চিহ্ন দিয়ে কোন কীওয়ার্ড লিখে অর্থাৎ mehdi.akram+test1@gmail.com ঠিকানা ব্যবহার করেন সেটিও আপনার মেইল ঠিকানা হিসাবে গণ্য হবে। উপরোক্ত যে ঠিকানাতেই মেইল আসুক না কেন তা মূল ইমেইলেই আসবে। ফলে আপনি আপনার একটি জিমেইলের অধিনে লক্ষাধিক মেইল ঠিকানা ব্যবহার করতে পারবেন।
যেসব ক্ষেত্রে একাধিকবার রেজিস্ট্রেশনে একটি মেইল ঠিকানা গ্রহণ করে না সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতি দারুন কাজে দেয়। এছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করলে মেইল ফিল্টার করতে সুবিধা হয়।
»» read more

লিনাক্সঃ বাংলাদেশের প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ

লিনাক্স বেসড ওপেন সোর্স অপারেটিং সিসটেমগুলোর জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। বহুল ব্যবহৃত বাণিজ্যিক অপারেটিং সিসটেমগুলো বর্জন করে অনেকেই ফ্রী এবং ওপেন সোর্স লিনাক্সের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। এই পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে বাংলাদেশেও। পাইরেটেড উইন্ডোজ এর বদলে আপনিও ব্যবহার করতে পারেন লিনাক্স বেসড যেকোন একটি অপারেটিং সিস্টেম।


লিনাক্স কিঃ
অনেকেই ভাবেন লিনাক্স হলো একপ্রকার Operating System (OS) । কিন্ত আসলে লিনাক্স হলো অপারেটিং সিস্টেম এর ‘কার্নেল’ (karnel)। ‘কার্নেল’ হলো OS এর ‘প্রাণ’। একে প্ল্যাটফরম ও বলা চলে। অর্থাৎ এর উপর ভিত্তি করেই OS তৈরী। লিনাক্স কার্নেলটার উপর ভিত্তি করে বেশ কিছু OS তৈরী হয়েছে। এর কয়েকটি হলো: Ubuntu, Red Hat, Fedora, Linux Mint, Gentoo, Open Suse, Solaris, Sabayon ইত্যাদি। বর্তমানে হোম ইউজের জন্য লিনাক্স কার্নেলের উপর ভিত্তি করে তৈরী সবচেয়ে জনপ্রিয় OS হলো উবুন্টু। এর পরেই জনপ্রিয়তার দিক থেকে আছে ফেডোরা। এখানে একটা কথা উল্লেখযোগ্য, রেড হ্যাট হোম ইউজের জন্য নয়।


উবুন্টু
বর্তমানে লিনাক্সের নাম বাংলাদেশে অনেক উচ্চারিত হচ্ছে। কারণ Linux based OS গুলো free, open অর্থাত আপনি ইচ্ছে করলেই এই OS গুলোর যেকোন অংশ এমনকি সম্পূর্ণ অংশ আপনার নিজের ইচ্ছে মত পরিবর্তন করতে পারবেন (অবশ্যই আপনার এ বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে) । অথচ, এই কাজটি যদি আপনি উইন্ডোজ এর কোনো OS এ করতে যান এবং মাইক্রোসফট সেটা জানতে পারে, তবে আপনার বিরুদ্ধে কপিরাইট ভঙ্গের অভিযোগ আনতে তাদের কোনো বাধাই নেই।
লিনাক্সের আর একটা জিনিস হলো, লিনাক্স বেসড OS গুলোর একটি কপি (CD) আপনি unlimited সংখ্যক কম্পিউটারে ইন্সটল করতে পারবেন। তাছাড়া, এই OS গুলোর এক একটি CD (অথবা DVD) এর দাম খুব বেশি নয়। মাত্র ৮০ টাকায় আপনি একটি original OS এর CD পেতে পারেন। এমনকি সম্পূর্ণ বিনামূল্যেও আপনি এই OS এর একটি সিডি পেতে পারেন, যা কিনা আপনার কাছে আসবে সরাসরি Netherland থেকে, এই OS গুলো যারা তৈরী করে, তাদের হেড অফিস থেকে। তাও আবার এটি হলো লিনাক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভার্সন ‘উবুন্টু’। আপনি অর্ডার করে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন আপনার কাছে তা আসবে এবং আপনাকে এর জন্য টাকা খরচ করতে হবে না। এই CD টি unlimited সংখ্যক কম্পিউটারে ইন্সটল করতে পারবেন কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই।
অপরদিকে উইন্ডোজের ৫০ টাকার যে সিডি আমরা ব্যবহার করি, তা পাইরেটেড। এর আসল দাম বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৫০০০ টাকা। বাংলাদেশের বিপক্ষে Windows এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার ব্যবস্হা নিচ্ছে না এর কারণ হলো বাংলাদেশকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই কাজ করার ক্ষমতা(!) দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের পর Unlincensed Windows চালিত যেকোন কম্পিউটারের মালিকের বিরুদ্ধে Windows ব্যবস্হা নিতে পারবে। শুধু Windows ই নয়, সকল Software যেগুলো আমরা Crack দিয়ে ব্যবহার করি, এমনকি গেমস্ ও, তারাও জানতে পারলে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে Copyright ভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ এনে।
সুতরাং আমাদের এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। অভ্যাস করতে হবে Open Software ব্যবহারের। একটি সহজ সমাধান হতে পারে উবন্টু’র মত Free এবং Open Operating System গুলো ব্যবহার করা। তাই অভ্যাস করুন এবং সতর্ক হোন এখন থেকেই।
উবুন্টু’র অনেক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এর সবচাইতে বড় সমস্যা হলো, এটাতে সাধারণভাবে Windows এর applications গুলো চালানো যায়না। তবে Linux based OS গুলোতে চালানোর জন্য লক্ষ লক্ষ program বা software বানিয়ে চলেছেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য developer রা। internet থাকলে এগুলো বিনামূল্যে সংগ্রহ করা কোনো সমস্যাই নয়। Linux based OS গুলোতে Windows এর applications চালাতে না পারার কারণ হিসেবে আমি মনে করি: অধিকাংশ executable Software (.exe extension সহ program গুলো) গুলোই free বা open নয়। এর ফলে এগুলো যদি উবুন্টুতে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়, তবে উবুন্টু’র মূল প্রতিজ্ঞা (Ubuntu Promise) ব্যহত হয়। তাই তারা এই OS গুলোর জন্য নিজস্ব Software type তৈরী করেছে, যেগুলো সবসময়ই Open। এই সমস্যাটার জন্যই বেশিরভাগ মানুষ Linux Based OS গুলো ব্যবহার করতে চায় না। কিন্তু আমরা সকলেই যদি এর ব্যবহার শুরু করি, তাহলে এটা কোনো সমস্যাই থাকবে না। Windows যখন প্রথম বাংলাদেশে আসে, তখন কয়জন মানুষ এর ব্যবহার জানত? কয়জন জানত, কোন Software টা দিয়ে কোন কাজ করা যাবে? কিন্তু সকলের ব্যবহারের ফলেই বর্তমানে এটি বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত OS ।
একটা জিনিস লক্ষ্য করুন:
উবুন্টু OPEN। অর্থাত, আপনি ইচ্ছে করলেই এর Develop করতে পারবেন। সারা পৃথিবীতে এরকম Developer আছেন কোটি’রও বেশি। অপরদিকে আপনি খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন Windows এ ১,০০০ এর বেশি লোক develop এর কাজে নিয়োজিত কিনা। অনুমতি ছাড়া কেউ এই কাজ করতে গেলেই Windows তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। কেন কেউ এত কষ্ট করে এই কাজ করবে?!
বাংলা ভাষাতেই আপনি পাবেন উবুন্টু এবং লিনাক্স সম্পর্কে হাজার হাজার নিবন্ধ, শত শত ফোরাম। আপনার সমস্যার সমাধানের জন্য অপেক্ষা করছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী। আর ইংরেজিতে তো কথাই নেই। আর Windows?! নাই বা বললাম। আপনার নিশ্চয়ই অভিজ্ঞতা আছে, আপনার কপিটি যদি Licensed না হয়, তাহলে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান তো পাবেনই না, বরং আপনার ডেস্কটপের নিচের ডান কোনায় আসবে একটি স্হায়ী বার্তা, যা আপনার ডেস্কটপের চেহারাই নষ্ট করে দিবে।
Windows এর restriction নিয়ে আমি যা বললাম, তা কি আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না??? তাই যদি হয়, তাহলে আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, কখনও কি Windows Install করার সময় EULA (End User License Agreement) টি পড়ে দেখেছেন??? না পড়লে পড়ে নিন।
file:///C:/WINDOWS/system32/eula.txt । তাহলেই বুঝতে পারবেন।
কখনো কি virus দ্বারা আপনার কম্পিউটার আক্রান্ত হয়েছে? এর ভয়াবহতা কি আপনি একবারের জন্যও উপভোগ করেছেন? আপনি কি জানেন, বছরে কয়েক কোটিরও বেশি কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়? জানেন কি, বছরে ক্ষতি হয় কোটি টাকারও বেশি শুধুমাত্র ভাইরাসের কারণে? আপনি কি জানেন, LINUX BASED OSs ARE NEVER AFFECTED BY VIRUSES? এখন পর্যন্ত কেউ লিনাক্সে চলার উপযোগী ভাইরাস সৃষ্টি করতে পারেনি, এবং পারবেও না বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। তাহলে আমরা কেন এগুলো ব্যবহারে মন দিচ্ছি না??
উবুন্টু OS টার উপর Base করে বেশ কয়েকটি ভিন্ন স্বাদের OS তৈরী করা হয়েছে। যেমন: Kubuntu, Edubuntu, XUbuntu, Ubuntu Studio, Linux Mint etc। এর মধ্যে আপনি চাইলে use করতে পারেন Kubuntu যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে KDE (Kubuntu Desktop Environment)। অত্যন্ত চমতকার interface বিশিষ্ট এই OS টাতে আপনি পাবেন উবুন্টু থেকে কিছু বেশি সুবিধা। এছাড়াও উবুন্টু এর উপর base করে আরও একটি OS তৈরী করা হয়েছে। এই OS টার অন্যতম সুবিধা হলো এটি দেখতেও যেমন সুন্দর তেমনি অনেক codec ও pre-installed থাকে। ফলে ইন্টারনেট না থাকলেও সাধারণভাবেই সব কাজ করা যায়।
উবুন্টু অনেক সহজলভ্য। আপনি সহজেই www.ubuntu.com/downloads ওয়েব সাইট টি থেকে উবুন্টু ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আর আপনার যদি 700 MB র এই iso image ডাউনলোডের সুযোগ না থাকে, অথবা সিডি রাইটার না থাকে, তাহলে আপনি উবুন্টুর সিডি অর্ডার করতে পারেন, ২ মাসের মধ্যে আপনার বাসায় পৌছে যাবে উবুন্টু Operating System এর একটি original CD ।


কুবুন্টু
অর্ডার করুন ফ্রি উবুন্টু এবং কুবুন্টু সিডি:
এর জন্য সরাসরি ক্লিক করুন: http://launchpad.net/+login?origin=shipit-ubuntu । এখানে গিয়ে প্রথমে register করুন। এবং http://shipit.ubuntu.com/ এ গিয়ে “Request a free CD of Ubuntu Desktop Edition” এ click করুন। এখন আপনার নাম, ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য পূরণ করুন। খুব ভালভাবে লক্ষ্য করুন আপনার ঠিকানা ঠিক লিখেছেন কিনা। এরপর “Submit Request” click করুন। সাধারণভাবে একাধিক CD না চাওয়াই ভালো, কারণ এতে সময় বেশি লাগে। কখনো কখনো নাও আসতে পারে।
উবু্ন্টু’র সর্বশেষ version 9.04 (code name: Jaunty Jackalope) release হয়েছিল ২০০৯ এর এপ্রিল মাসে। পরবর্তী version 9.10 (code name: Karmic Koala) release হবে ২০০৯ এর অক্টোবর মাসের ৩০ তারিখে। বের হওয়ার কয়েকদিন আগে (২৫-২৬ তারিখের দিকে) যদি আপনি pre-order করেন তবে রিলিজ হওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই আপনার বাসায় চলে আসবে। সুতরাং এই OS টি পরখ করতে চাইলে pre-order করাই ভালো। লক্ষ্য রাখবেন, release হওয়ার পর প্রায় ৩ দিন আগে এবং ১ সপ্তাহ পরে Canonical (উবুন্টু এর manufacturer) কোনো অর্ডার নেয় না, ওয়েব সাইটটি বন্ধ করে দেয়। কারণ, গত কয়েকবছর ধরে প্রচুর পরিমাণ request আসে, যা একবারে পাঠানো সম্ভব হয় না। তাই ঠিকসময় পেতে হলে, ৪-৫ দিন আগে request পাঠানোই ভালো।
আপনি একই সাথে Ubuntu এবং Kubuntu pre-order করতে পারেন। register করার পরে Kubuntu পেতে চাইলে ক্লিক করুন http://shipit.kubuntu.com/ । Ubuntu এবং Kubuntu একই সাথে, একই রেজিস্ট্রেশন এর মাধ্যমে অর্ডার করা হলে আপনার বাসায় দুইটিই একই সাথে এসে পৌছাবে। তবে লিনাক্স মিন্ট অর্ডার করে বাসায় আনা যায়না। এটি রিলিজ হয় উবুন্টু এর যে ভার্শনের উপর বেইজ করে তৈরী করা হবে, সেই ভার্শন বের হওয়ার প্রায় ১.৫-২ মাস পর। সরাসরি www.linuxmint.com/download website টি থেকে এই OS টি ডাউনলোড করে নেওয়া যায়।
উবুন্টু এবং কুবুন্টু  LIVE CD:
উবুন্টু এবং কুবুন্টু OS এর আর একটি অত্যন্ত চমতকার সুবিধা হলো, এর সিডিটি একটি Live CD । অর্থাৎ, এই CD টি আপনি আপনার CD-ROM এ প্রবেশ করিয়ে, উবুন্টু ইন্সটল না করেই ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার পছন্দ হলে আপনি ইন্সটল করে ব্যবহার করবেন, পছন্দ না হলে আপনি install করবেন না। উইন্ডোজ যেমন পরখ করতে হলে আগে ইন্সটল করে নিতে হয়, উবুন্টুতে সেরকম কিছু করতে হয় না। এর ফলে আপনার কম্পিউটারের কোনো পরিবর্তন হয় না। উইন্ডোজ কি সাধারণভাবে এরকম সুবিধা দেয়?!
তাছাড়া সিডি ছাড়াও আপনি লিনাক্স ইন্সটল করতে পারেন।
সিডি ছাড়াই লিনাক্স ইনষ্টল করা:
সাধারণত লিনাক্স ঘরনার অপারেটিং সিস্টেম ইনষ্টল করতে হয় সরাসরি সিডি থেকে। কিছু লিনাক্স ডিষ্ট্রো উইন্ডোজ থেকেও ইনষ্টল করা গেলেও তা সিডি থেকে চালাতে হয়, হার্ডডিক্স থেকে চালানো সুযোগ নেই। আপনি যদি ইন্টারনেট থেকে ইমেজ ডাউনলোড করেন বা অন্যকোন ভাবে আপনার হার্ডডিক্সে লিনাক্স ঘরনার কোন অপারেটিং সিস্টেমের ইমেজ থাকে তাহলে অপারেটিং সিস্টেমটি ইনষ্টল করতে হলে ইমেজটি সিডিতে বার্ন করে তারপরে সিডি থেকে ইনষ্টল করতে হয়। তবে ইউনিভার্সেল নেট বুট ইনষ্টলার বা নেটবুটইন সফটওয়্যার দ্বারা লিনাক্স ঘরনার অপারেটিং সিস্টেম হার্ডডিক্স বা ফ্লাশ ডিক্স থেকেই ইনষ্টল করতে পারবেন। এজন্য http://unetbootin.sourceforge.net/ থেকে এই সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন। সফটওয়্যারটি পোর্টেবল তাই ইনষ্টল করার প্রয়োজন নেই। এই সফটওয়্যার ৩২টির মত লিনাক্স ডিষ্ট্রোর প্রায় সবগুলো সংস্করণই এই সমর্থন করে। এই সফটওয়্যার দ্বারা লিনাক্স ডিষ্ট্রোর লাইভ ইউএসবি ডিক্সও তৈরী করা যাবে।
»» read more

যেভাবে ডিলিট করবেন আনডিলিটেবল ফাইল

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কিছু কমন সমস্যায় প্রায় নিয়মিতই পড়তে হয়। যেমনঃ কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যাওয়া, স্টার্টআপে অত্যধিক সময় নেয়া, ফাইল রেসপন্স না করা ইত্যাদি। আজ আমরা আলোচনা করবো আনরেসপনসিভ ফাইল মুছে ফেলার পদ্ধতি নিয়ে।
অনেক সময়ই বিভিন্ন সফটওয়্যার বা অতি সাধারণ ফাইল আনরেসপনসিভ হয়ে পড়ে। ফলে দেখা যায় যে, আপনি সেটিকে কোনোভাবেই মুছে ফেলতে পারেন না। ডিলিট করতে গেলেই মেসেজ বক্স আসে যাতে লেখা থাকে যে, এই ফাইলটি ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এই মুহুর্তে ডিলিট করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনি নিম্নোক্ত উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
কন্ট্রোল + অল্টার + ডিলিট কি-গুলো প্রেস করে অথবা টাস্কবারে রাইট কিক করে টাস্ক ম্যানেজার ওপেন করুন। টাস্ক ম্যানেজারের প্রসেস ট্যাবে কিক করুন। এখানে আপনি দেখতে পাবেন আপনার কম্পিউটারের ব্যাক-এন্ডে যেসব প্রোগ্রাম সচল রয়েছে তার তালিকা। এবারে আপনি যে ফাইলটি মুছে ফেলতে চাচ্ছেন, সেই ফাইলের নাম খুঁজে দেখুন। যদি পেয়ে যান, তাহলে তা সিলেক্ট করে “End Process” বাটনে কিক করুন। এতে করে উক্ত প্রোগ্রামটির কাজ বন্ধ হবে। এবারে ফাইলটি মুছে ফেলার চেষ্টা করুন। এরপরও কাজ না হলে কম্পিউটার একবার রিস্টার্ট করে দেখতে পারেন।
অনেক সময় শিফট + ডিলিট প্রেস করে সরাসরি ফাইল মুছে ফেলা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে প্রথমে শুধু ডিলিট কি চেপে ফাইলটিকে রিসাইকেল বিনে নিয়ে যান। তারপর সেখান থেকে আবার ফাইলটি মুছে ফেলুন।
আর যদি তারপরও ফাইল মুছে ফেলা সম্ভব না হয়? আপনার কম্পিউটারের ফাইল যদি আপনার কথা না শোনে, তাহলে তাকে মেরে ফেলার অধিকার নিশ্চয়ই আছে আপনার! হ্যাঁ, কোনো ফাইল যদি এমনভাবে জায়গা দখল করে বসে যে তাকে আপনি সরাতেই পারছেন না আপনার কম্পিউটার থেকে, তাহলে একমাত্র উপায় তাকে মেরে ফেলা।
FileAssassin (বাংলায় ফাইল হত্যাকারী) নামের ছোট্ট এই সফটওয়্যারটি আপনার হয়ে কাজটি করে দিতে প্রস্তুত। আসুন জেনে নিই কীভাবে আপনি এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে ফাইল ডিলিট করবেন।
FileAssassin
প্রথমেই এখানে ক্লিক করে ২০০ কিলোবাইটেরও কম আকারের ইন্সটলারটি ডাউনলোড করে নিন। তারপর ইন্সটল করে প্রোগ্রামটি চালু করুন। এবারে নিচের মতো একটি উইন্ডো দেখতে পাবেন।


এই উইন্ডোর টেক্সট বক্সে আপনাকে যে ফাইল বা ফোল্ডারটি ডিলিট করতে চান, তার অবস্থান বলে দিতে হবে। আপনি ফাইলটি ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ পদ্ধতিতে এ কাজটি করতে পারেন, অথবা “…” বাটনে কিক করে ব্রাউজ করার মাধ্যমে ফাইল অবস্থান জানিয়ে দিতে পারেন।
কাঙ্ক্ষিত ফাইল বা ফোল্ডারের অবস্থান জানিয়ে দেয়ার পর নিচে কয়েকটি অপশন পাবেন। এখান থেকে প্রথম রেডিও বাটনটিতে কিক করুন। আপনি যদি শুধু ফাইলটির প্রক্রিয়া বন্ধ করতে চান, অর্থাৎ মুছে ফেলতে না চান, তাহলে Delete this File চেকবক্স থেকে টিকচিহ্নটি উঠিয়ে দিন। অন্যথায় এই চেকবক্সটিতেও টিক দিয়ে ‘Execute’ বাটনে কিক করুন।
FileAssassin এবার আপনার ফাইল মূলোৎপাটন করবে। উল্লেখ্য, আপনার ফাইল যদি লক করাও থাকে, ফাইলঅ্যাসাসিনের জন্য তা ডিলিট করা মোটেও কষ্টকর হবে না। বরং, যে কোনো প্রকারের ফাইল মুছে ফেলার জন্য আমার দেখা শ্রেষ্ঠ সফটওয়্যার হচ্ছে FileAssassin
»» read more

ওয়াইফাই কী ও কিভাবে কাজ করে



WLAN বা ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক কী:
একটি সীমিত এলাকা অর্থাৎ একই ভবন, পাশাপাশি অবস্থিত ভবন অথবা একটি অফিস বা এপার্টমেন্টে অবস্থিত কমপিউটারসমূহ, প্রিন্টার ও অন্য কোন বিশেষ ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মধ্যে তারের পরিবর্তে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে স্থাপিত আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থাকে ওয়ারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (WLAN) বলে।



উপরের ছবিটি একটি ব্রডব্যান্ড লাইন থেকে একাধিক কমপিউটারে ইন্টারনেট কানেকশনের একটি ওয়ারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক। এই ধরনের নেটওয়ার্কে প্রয়োজন একটি মডেম ও একটি ওয়ারলেস রয়টার। যে কোন কমপিউটারে ওয়্যারলেস এডাপটার অথবা ওয়্যারলেস কার্ড ইন্সটল থাকলে এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশন শেয়ার করতে পারবে।
Wi-Fi (Wireless Fidelity) হচ্ছে একটি বিশেষ ধরনের ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের টার্ম বা ট্রেড মার্ক যেখানে ওয়াইফাই এলাইয়েন্স নামে একটি কমিটি কর্তৃক পরীক্ষীত ও অনুমোদিত হার্ডওয়্যার ও স্পেসিপিকেশন ব্যবহার করা হয়। এর প্রধান উদ্দেশ্য বিভিন্ন কোম্পানীর ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের ডিভাইসরগুলি যাতে পরষ্পরের সাথে কাজ করতে পারে। এছাড়া নেটওযার্কটির কনফিগারেশনসহ অন্যান্য টেকনিক্যাল বিষয়ের একটি স্ট্যান্ডার্ড মান নির্ধারণ করা। ব্যাবহারকারীদের জন্য সুবিধা হচ্ছে, যদি কারো মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে Wi-Fi এডাপটার থাকে, তবে এটি যে কোন Wi-Fi নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারবে। সুতরাং আমরা বলতে পারি সব ওয়াইপাই নেটওয়ার্ক হচ্ছে ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক, কিন্তু সব ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ওয়াইপাই নেটওয়ার্ক নয়।


একটি ওয়াইফাই রয়টার/একসেস পয়েন্ট/এন্টিনার মাধ্যমে কোন বিশেষ স্থানে যখন ওয়ারলেস ইন্টারনেট কানেকশনের সুবিধা প্রদান করা হয় তখন সেই স্থানকে Hot Spot বলা হয়। একাধিক একসেস পয়েন্ট/এন্টিনার মাধ্যমে সৃষ্ট হটস্পটগুলোকে সমন্বয় করে যখন বড় এলাকা ভিত্তিক একটি ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তখন সেই এলাকাকে Wi-Fi Zone বলা হয়।
মোবাইল ব্রডব্যান্ড বনাম ওয়াইফাই হটস্পট:
মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবা সাধারণত মোবাইল ফোনের কোম্পানীগুলো দিয়ে থাকে। সুতরাং প্রায় সব জায়গা থেকে (মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক) মোবাইল ফোন বা ওয়ারলেস মডেমের সাহায্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়া যায়। ওয়াইফাই হটস্পটে এই সুযোগ একটি সীমিত এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। ইদানীং বড় বড় শহরের বাস/ট্রেন স্টেশন, শপিং সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমূহে ওয়াইফাই জোন সৃষ্টি করা হচ্ছে। মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিসের মাসিক চার্জ বেশী। এছাড়া একদেশ থেকে অন্য দেশে গেলে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সার্ভিস কাজ করে না, যদি কাজ করে তবে চার্জ হয় খুবই বেশী। তাই নিজস্ব ল্যাপটাপ বা মোবাইল ফোন থেকে প্রয়োজনীয় সময়ের জন্য ওয়াইফাই হটস্পট থেকে ইন্টারনেট কানেকশন সস্তা। ইদানিং বিভিন্ন শহরের ওয়াইফাই হটস্পটের তালিকা নেটে পাওয়া যায়।
ওয়াইফাই কনফিগারেশন
ইদানিং নতুন মডেলের অনেক ল্যাপটপে ওয়াইফাই কার্ড আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে। আর না থাকলে আলাদা ওয়াইফাই এডাপটার/কার্ড কিনতে পাওয়া যায়। কার্ডের সাথে ইনস্টল-কনফিগারেশনের নিয়ম লেখা থাকে। এটা তেমন কঠিন নয়, এডাপটার/কার্ড সংযুক্ত করে কমপিউটার অন করলে অটো-ডিটেক্ট হয়ে কনফিগারেশন উইনডোজ চলে আসে।
»» read more
ছবির জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় ফাইল ফরম্যাট ‘জেপিইজি’। বলতে গেলে এ ফরম্যাটটির তেমন কোন প্রতিদ্বন্দী ছবি ফরম্যাট আর নেই। এবার এ ফরম্যাটের জন্য শিঘ্রই নতুন প্রতিদ্বন্দী ওপেনসোর্স ভিত্তিক ছবি ফরম্যাট আসছে। ‘ওয়েবপি’ নামক এ ফরম্যাটটি তৈরি করেছে সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান গুগল। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এ ছবি ফরম্যাটটির ঘোষনাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গুগল জানিয়েছে, ছবির নতুন ফরম্যাটটি ফাইলের আকারকে আরোও কমিয়ে আনবে, এটিকে দ্রুত খুলতে সাহায্য করবে এবং ছবি দেখতে আগের ‘গ্লোসি’ হবে। জেপিইজি ফরম্যাটের চেয়ে এটি কমপক্ষে ৪০ শতাংশ হালকা হবে।
হঠাৎ করেই কেনো গুগল ছবির জন্য আলাদা ফরম্যাট তৈরি করতে গেলো? বাজারে তো ছবির জন্য খুব ভালো মানের ছবি ফরম্যাট তো ছিলই। এমন প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন গুগল কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপি ওয়েবসাইটগুলোতে থাকা কনটেন্টের ৬৫ শতাংশই ছবি ভিত্তিক। এ কারণে ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ছবি ফরম্যাটটি একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড এবং আপলোডের রেকর্ডেও রয়েছে ছবির প্রাধান্য। এজন্যই গুগল বর্তমান ছবির চেয়ে আরোও হালকা এবং উন্নতমানের ছবি ফরম্যাট তৈরিতে মনোনিবেশ করেছে। ইন্টারনেটে থাকা ছবির ফরম্যাটকে সম্পূর্ণ ‘ওয়েবপি’ ফরম্যাটে করা হলে ওয়েবসাইটগুলোর গতি আগের চেয়ে আরোও ২৬ শতাংশ বাড়বে। আর এজন্যই গুগল নতুন এ ছবি ফরম্যাটটি বাজারে এনেছে। প্রতিষ্ঠানটি আশা প্রকাশ করেছে, সবগুলো সাইট গুগলের এ ছবি ফরম্যাটে ছবি কনভার্ট করে নিবে।
এর আগে একটি ভিডিও ফরম্যাটও বাজারে এনেছে গুগল। ‘ওয়েবএম’ নামক ভিডিও ফরম্যাটটিকে জনপ্রিয় করার জন্য গুগলের ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবের মাধ্যমে একটি কৌশলও কাজে লাগানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ইউটিউবে ৭২০পি বা এর চেয়ে বেশি মানের ভিডিও যদি আপলোড করা হয় তবে উক্ত ভিডিওটি স্বয়ংক্রীয়ভাবে ওয়েবএম ফরম্যাটে রুপান্তরিত হয়ে যাবে।
ভিডিও ফরম্যাটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে গুগলের কাছে নিজস্ব কৌশল (ইউটিউব) থাকলেও ছবি ফরম্যাটটিকে জনপ্রিয় করার মতো এমন কোন কৌশল কাজে লাগাতে পারবে না আপাতত। ভিডিও শেয়ারিং সাইট হিসাবে গুগলের পিকাসা জনপ্রিয় হলেও ছবি শেয়ারিংয়ের পরিমানের দিক দিয়ে সাইটটিতে সাড়া অনেক কম। ছবি শেয়ারিংয়ে শীর্ষে রয়েছে গুগলের প্রতিদ্বন্দী প্রতিষ্ঠান ইয়াহুর ফিকার। গুগল হয়ত পিকাসা সাইটে আপলোড করা ছবিগুলোকে ওয়েবপি ফরম্যাটে স্বয়ংক্রীয় রুপান্তর করে নিতে পারবে, কিন্তু শীর্ষ ছবি শেয়ারিং সাইট ফিকারকে কি ‘ওয়েবপি’ ফরম্যাট ব্যবহারে রাজি করাতে পারবে?? প্রতিদ্বন্দী প্রতিষ্ঠান হিসাবে ইয়াহু হয়ত ফিকারে ‘ওয়েবপি’ সমর্থন দিবেনা এটাই স্বাভাবিক।
সিনেট জানিয়েছে, গুগলের এ ছবি ফরম্যাট বর্তমান ‘জেপিইজি’ ফরম্যাট কে কিল করবে। তবে আসলেই গুগলের এ ছবি ফরম্যাট কি ব্যাপক প্রচলিত জেপিইজি ফরম্যাটকে কিল করতে পারবে?? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের আরোও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
আসুন ওয়েবপি ফরম্যাটের ছবি দেখে নেই জেপিইজি থেকে কতটুকু হালকা


                                        ওয়েবপি ফরম্যাটের ছবি. এটির সাইজ ৩৬,১৫৪ বাইট

উপরের ছবির মানেই এখন আমরা দেখে নিতে পারি জেপিইজি ফরম্যাটের ছবি..
                        


                                    
এটি জেপিইজি ফরম্যাটের ছবি। এর কোয়ালিটি আগের ছবিটির মতোই হলেও এর সাইজ ৪৬৭৬৮ বাইট।
গুগল ওয়েব বিশ্ব দখলে রাখার জন্য প্রতিদিন নিত্য নতুন ফিচার চালু করছে। এমনই মনে করেন অনেকেই। তবে গুগলের সেবাগুলো কি অদরকারী? ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনেই গুগল এসব সেবা চালু করছে। প্রিয় পাঠক, গুগলের নতুন এ ছবি ফরম্যাট সম্পর্কে আপনাদের মনোভাব কি? এটি কতটুকু প্রয়োজনীয় এবং কতটুকু সফল হতে পারবে?? প্লিজ লেট আস নো…
»» read more

উইন্ডোজ সেভেনে হিডেন এডমিনিস্ট্রেটর একাউন্ট এনাবেল করুন

আপনিই তো আপনার পিসির প্রধান এডমিনিস্ট্রেটর একাউন্ট হোল্ডার তাই না? তাহলে আপনারো কেন বারবার রান এজ এডিমিস্ট্রেটর হিসেবে বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালানো লাগে? কখনো মনে এই প্রশ্ন এসেছে কি? যদি এসে থাকে তাহলে এর উত্তর হচ্ছে- হ্যা, আরেকটি এডমিন একাউন্ট আছে যেটি আমরা সাধারণ উপায়ে দেখতে পারি না। এখন সেটিকে এনাবেল করলেতো অনেক ঝামেলা থেকেই বাচা যায় তাই না? আসুন তো উপায় খুজে বের করি-

>> স্টার্ট মেনুর রানে গিয়ে নিচের কমান্ডটি লিখুন-
net user administrator /active:yes

>> খেলা কিন্তু শেষ! এখন লগ অফ করুন আর দেখুন এডমিনিস্ট্রেটর নামের আরেক ভদ্রলোক আপনার একাউন্টের পাশে স্থান করে নিয়েছেন।

>> এবারে যদি এডমিনিস্ট্রেট ব্যাটাকে বেশিদিন সহ্য করতে না পারেন তাহলে রান কমান্ডে নিচের লাইনটি লিখে এন্টার দিলেই হবে-

net user administrator /active:no
»» read more

শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০১০

Starting......

Hi This is John. Now a days the technology running rapidly. This is my first blog that I want to share update technology than I have knew.
»» read more