বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১০

দীর্ঘ পথ পাড়ি দিল এন্ড্রয়েডে চলা গুগলের সয়ংক্রিয় গাড়ী

এন্ড্রয়েডে চলা ফোনের কথাতো অনেক শুনলেন। এবার এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে গাড়ী চলবে  কোন চালক ছাড়াই। গুগল ইতোমধ্যে কিছু অটোমেটিক গাড়ি চালিয়ে পরীক্ষা করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন রাস্তায়। ছোট একটি দূর্ঘটনা ছাড়া গুগলের এই সয়ংক্রিয় গাড়ীগুলো সফলভাবে অতিক্রম করেছে ১,৪০,০০০ মাইল! আর এই সফলতা ভবিষ্যতে গাড়ীর ড্রাইভারদের চাকরি হারানোর দিকেই ইংগিত দিচ্ছে
ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি থেকে সান্তা মনিকা পর্যন্ত দীর্ঘ এই পথ পাড়ি দেয়ার সময় গাড়ীগুলোতে যদিও মানুষ ছিল, তবে তা শুধুই সতর্কতার জন্য। একজন মানুষ বসে ছিলেন ড্রাইভিং সিটে যাতে করে মূহুর্তের মধ্যে গাড়ীটিকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারেন। আর অপরজন ছিলেন প্যাসেঞ্জার সিটে যিনি সফটওয়্যারের কার্যকলাপ পরীক্ষা করছিলেন। তবে গাড়ী নিয়ন্ত্রনের জন্য তাদের কিছুই করতে হয়নি।
গুগলের এই গাড়ীগুলোতে ব্যবহার করা হয় ক্যামেরা, রাডার সেন্সিং, লেজার এবং অত্যাধুনিক সফটওয়্যার। গাড়িগুলোর ছাদে একটি ঘূর্ণায়মান সেন্সর থাকে যা গাড়ির চারপাশের এলাকা স্ক্যান করে মানচিত্র তৈরী করতে সক্ষম। এছাড়াও পথচারী ও অন্যান্য গাড়ী বা ট্রাফিক সিগনাল সনাক্ত করতে গাড়ীগুলোর বিভিন্ন স্থানে লাগানো থাকে ক্যামেরা। গাড়ীতে সংযুক্ত রাডার এবং জিপিএস এর সাহায্যে এটি পথ চিনে চলতে সমর্থ হয়।
তবে এই গাড়ীগুলোর সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো নিরাপত্তা। গুগল বলছে এই অটোমেটিক গাড়ীগুলো মানুষের চাইতে বেশি নিরাপদভাবে পথ চলতে পারবে। এর কম্পিউটার সিস্টেম সিদ্ধান্ত নিতে পারবে খুব দ্রুত যা হয়তো অনেক বড় দূর্ঘটনা থেকে গাড়ী এবং যাত্রীদের রক্ষা করতে পারবে। এছাড়াও বিভিন্ন পাওয়ার কন্ট্রোল এর মাধ্যমে জ্বালানী খরচও কমিয়ে আনা যাবে এই গাড়ী দ্বারা।
এই গাড়ীগুলো শীঘ্রই বাজারে আনার কোন পরিকল্পনা নেই গুগলের। নিরাপত্তা ছাড়াও বিভিন্ন আইনি ব্যাপার রয়েছে এতে। যদি একটি গাড়ী দূর্ঘটনায় পতিত হয়, তবে এর জন্য কে দ্বায়ী হবে? এর জন্য কি সফটওয়্যার দ্বায়ী হবে এবং তারা ক্ষতিপূরন দিবে? এই সকল ব্যাপারগুলোর সমাধান করে সিদ্ধান্তে পৌছুতে মোটামুটি সময় লাগবে। আর তাই খুব তাড়াতাড়ী এই গাড়ীগুলোকে রাস্তায় দেখা যাবে না। তবে প্রযুক্তিটির সফল বাস্তবায়ন একটি নতুন বিপ্লবের সূচনা করতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন