এটি ইউনিক যে ব্যাপারটির জন্য তা হলো এটি গ্লোভের মতো করে হাতে পরতে হবে। ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক বাজরামোভিক এবং ওরিন টেসলার বিশ্ববিদ্যালয়ে সহপাঠি ছিলেন। মার্ক বলেন, ‘আমাদের প্রথম বর্ষের মাঝামাঝি সময়ে আমি একটা কম্পিউটার মাউস বানিয়েছিলাম (যা ব্যবহার করলেও রিপিটিটিড স্ট্রেস ইনজুরির সমস্যা হতো) এবং সেটা ব্যবহার করে প্রায় কয়েক সপ্তাহ আমার হাত এবং বাহু অসাড় হয়েছিল। অসাড়তা, ব্যাথা সে সব কিছুই যা তোমরা রিপিটিটিভ স্ট্রেস ইনজুরি বলতে বোঝ তা সবই আমার হয়েছিল’। ঐ সেমিস্টার পরে মার্ক এবং অরিন বুঝতে পারলেন যে, তাদের তৈরি করা প্রোডাক্টটি আসলে পারফেক্ট ছিল না। তারপর তারা আবার নতুন করে ডিজাইন করা শুরু করলেন। এর ফলাফল হলো এয়ার মাউস।
এই ওয়্যারলেস মাউসটাতে অপটিক্যাল লেসার ব্যবহার করা হয়েছে। এটি রিচার্জ করা ছাড়া প্রায় এক সপ্তাহ ব্যবহার করা যাবে। কোম্পানি ওয়েবসাইট অনুসারে এটি হাত এবং কব্জিতে আপনা থেকেই সঠিক জায়গাতে বসে যাবে। এর কারণে ব্যবহারকারীর হাত নিউট্রল পজিশনে থাকবে এবং কোনো জোর প্রয়োগ করা লাগবে না বললেই চলে। শুধু তাই নয় এটি হাতের জন্য যেমন সহজ হবে তেমনি মাউসের স্পিড এবং অ্যাকিউরেসি ও বেড়ে যাবে। মাউসটি এমনভাবে ডিজাইন করা যে যতক্ষণ না হাত কোন নিউট্রাল, ফ্ল্যাট পজিশনে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এটি ইনঅ্যাক্টিভ থাকে। ফলে এটি পরে একই সাথে টাইপিং এবং মাউসিং দুটোই করা যাবে। মাউসটি খুব দ্রুত বাজারে আসছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন